পাতা:লণ্ডনে স্বামী বিবেকানন্দ - মহেন্দ্রনাথ দত্ত.pdf/৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লগুনে বিবেকানন্দ লেখক দুপুর বেলা বসিয়া আছেন, সকলেই একটু ঠাণ্ডা অনুভব করিতে লাগিলেন। মিস মুলার তাহার বুড়ী ঝিকে আতুসিখানাতে একটু আগুন করিয়া দিতে বলিলেন ঘটী যাহাতে একটু গরম হয়। বুড়ী ঝি কিছু কাঠের কুঁচো (woodchils) ও ঘুটে আনিয়া আগুন জ্বালিয়া দিল। বাঙ্গালা দেশের খুঁটেগুলি চ্যাপটা হয়। হিন্দুস্থানের অনেক জায়গায় ঘুটেগুলি মােটা মােটা অর্ধ গােলাকার অর্থাৎ নীচের দিকটা চ্যাপটা ও উপর দিকটা অর্ধচন্দ্রাকার কিন্তু মিস মুলারের বাড়ীতে যে খুঁটে দেখিলাম তাহা অন্য প্রকারের, নিরেট লম্বা লম্বা চোঙ্গার মত অর্থাৎ নিরেট লম্বা লম্বা মাটীর গ্লাসের মত। নীচের চ্যাটালাে দিক থেকে উপরের দিকটা ক্রমে সরু হইয়া গিয়াছে। প্রায় ৯ ইঞ্চি, এরূপ তিনখানা ‘ঘুটে রাখিয়া মাঝখানে কাঠের কুঁচো দিয়া আগুন দিতে ঘরের ঠাণ্ডা কমিয়া গেল। গ্রামটী রেল ষ্টেশন থেকে প্রায় ২৩ মাইল দূরে, এইজন্য পাথুরে কয়লার চলন নাই, আনাইতে গেলে বিশেষ খরচ পড়ে। গ্রামে কাঠ জ্বালাইয়া সকলে বন্ধন করিয়া থাকে। একদিন বিকালবেল! স্বামীজী, মিস্ মূলার, সারদানন্দ স্বামী ও বর্তমান লেখক চারজন যাইয়া ভিতরকার উঠানে বসিলেন। মিস মুলার একখানি চেয়ারের উপর বসিয়া রহিলেন। স্বামীজীর পরিধানে একটা কালরংয়ের ইজের, একটা কাল রংয়ের ভেষ্ট, গলায় কলার ছিল না, আলপাকার লম্বা চোগাটা পরিয়াছিলেন। তিনি বাঁ-হাতের কনুইয়ের উপর ঠেস দিয়া ঘাসের উপর বাঁকিয়া শুইয়া পড়িয়াছিলেন এবং কথাবার্তার সময় মাঝে মাঝে উঠিয়া পা মুড়িয়া একপায়ের উপর অন্য একটি পা দিয়া বসিয়া কথাবার্তা কহিতে লাগিলেন। কালাে লম্বা কোট ও ইজের পরা সারদানন্দ স্বামীও ঘাসের উপর চাপটানি খাইয়া বসিয়া রহিলেন। বর্তমান লেখক সারদানন্দ স্বামীর