পাতা:লণ্ডনে স্বামী বিবেকানন্দ - মহেন্দ্রনাথ দত্ত.pdf/৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লণ্ডনে বিবেকানন্দ পাশে বসিয়া রহিলেন। স্বামীজী মিস্ মূলারের সহিত কথাবার্তা কহিতে লাগিলেন। প্রথমে আমেরিকায় কার্যের কথা উঠিল, তারপর ইংলণ্ডের কাৰ্য কি করিয়া হইবে সেই সব বিষয় কথাবার্তা কৰ্ম্মপ্রণালী সম্বন্ধে হইতে লাগিল, এবং ভবিষ্যতে ভারতে যাইয়া কি স্বামীজীর আলােচনা। প্রকারে কাৰ্য্য করিবেন সে বিষয়ে কথাবার্তা বলিতে বলিতে স্বামীজী একটু উত্তেজিত হইলেন। বাঁ হাতে হেলান দিয়া শুইয়া থাকার অবস্থা হইতে উঠিয়া বসিলেন ও মুখে গম্ভীর ভাব আসিল। তাহার পর পুনর্জন্মের কথা উঠিলে স্বামীজী বলিলেন, “lhis time I will give hundred years to this body” অর্থাৎ এবার এই শরীরকে শত বৎসর রাখিব। আমায় এবার অনেক দুরূহ কাজ করিতে হইবে। পূৰ্ববারের চেয়ে এবার আমার ঢের কাজ বেশী। মিস্ মূলার বলিলেন “কাজ দিনকতক ভাল লাগে তারপর বড় বেজার বলিয়া বােধ হয়, চিরকাল কি মানুষ কাজ করিতে পারে ?” কিন্তু স্বামীজী উত্তেজিত ও গম্ভীর হইয়া বলিলেন, “এবার শেষ মূহুর্ত পর্যন্ত কাজ করিব’-বলিতে বলিতে তিনি আরও উত্তেজিত হইয়া নিজের অন্তর্নিহিতভাব প্রকাশ করিয়া ফেলিলেন। যদিও ভাষাটা ঠিক উদ্ধৃত করিতে পারিতেছি না কিন্তু ভাবটা স্পষ্ট মনে আছে। তিনি প্রকারান্তরে বলিলেন যে পূর্বজন্মে আমি বুদ্ধ দেহ ধারণ করিয়াছিলাম। যদিও এই কথাটা মিস্ মূলারের পক্ষে ততটা হৃদয়স্পর্শী হইল না কিন্তু অপর দুইজনের পক্ষে অতি বিস্ময়কর বলিয়া বােধ হইল ; বিশেষতঃ যখন তিনি বলিলেন যে, “এইবার এই দেহকে একশত বৎসর ধরিয়া রাখিব।” এই বলিয়া তিনি পূর্বজন্মের অনেক কথা বলিতে লাগিলেন। কিন্তু কথাগুলি এত জোরের সহিত বলিয়াছিলেন যে সারদানন্দ স্বামী ও বর্তমান লেখক তা শুনিয়া বিভাের বা হতভম্ব হইয়া রহিলেন। সব যেন নূতন ভাবের নূতন লােক। তাহার ২২