পাতা:লণ্ডনে স্বামী বিবেকানন্দ - মহেন্দ্রনাথ দত্ত.pdf/৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
লণ্ডনে বিবেকানন্দ
লণ্ডনে বিবেকানন্দ

পনে বিবেকানন্দ পুনরায় বলিতে লাগিলেন, “মাথার চুল সব সময় বুরু করে রাখবে, চুল যেন উসকো খুসকো হয় না, তা হলে এ দেশের লােক বড় ঘৃণা করে। জাম ইজের সর্বদা বুরুস করতে হয়। সর্বদা ফিটফাট, সেজে থাকবে, নইলে লােকে ঘৃণা করবে। একেই তাে ইণ্ডিয়ানস্ ব’লে লােকে অবজ্ঞা করে, তার উপর যদি ফিটফাট হয়ে না থাকতে পার তাহলে লােক আরও ঘৃণা করবে।“ স্বামীজী তারপর জিজ্ঞাসা করিলেন, স্নান করেছিস?” বর্তমান লেখক বলিলেন, “কি করে নাই, কল চৌবাচ্চা যে নাই ?” স্বামীজী একটু হাসিয়া বলিলেন, “এ দেশে অমন করে স্নান করে না। ঘরেতে Bath টবেতে ঠাণ্ডা জল মিশিয়ে দিয়ে যাবে। আগে একখানা স্পঞ্জ ভিজিয়ে গায়ে বুলাইয়া নিতে হয়, তারপর সাবান দিয়ে গা-টা ঘসে নিতে হয়। দ্বিতীয় বার ভিজে স্পঞ্জ দিয়ে সাবানের ফেনাটা গা থেকে তুলে ফেলতে হয়, তারপর Batlu-tubএ বসে মগে করে মাথায় জল দিয়ে গা টা ধুয়ে ফেলে, শুকনা ভােয়ালে দিয়ে গা-টা পুছে ফেলেই তখনই কাপড় জামা পরিতে হয়, নইলে বুকে ঠাণ্ডা লেগে যাবে। আর দ্যাখ, নাকের শিনি হাত দিয়ে অমন করে ফেলতে নেই, দু'খানা রুমাল পকেটে রাখতে হয়, নাক ঝাড়তে হলে রুমাল দিয়ে নাক মুছে পকেটে রাখতে হয়। শিনি, থুথু, যেখানে সেখানে ফেলতে নেই, এরা বলে তাতে অপরের ব্যামাে হবে। আর খেয়ে দেয়ে খুব ফাঁকা হওয়ায় বেড়াগে বা।” বর্তমান লেখক যদিও স্বামীজীর এ সব কথার কোন প্রত্যুত্তর করিলেন , কিন্তু মনে মনে ভাবিতে লাগিলেন যে, শিক্‌নি মাখান রুমাল পকেটে রাখতে হবে, হায় রে কপাল ! তাহার পর স্বামীজী জিজ্ঞাসা করিলেন, “কাকে চিঠি লিখছিস ?” বৰ্তমান লেখক বলিলেন, “সান্ন্যাল মহাশয়কে লিছি।” স্বামীজী বলিলেন, “তা বেশ, সান্ন্যালকে মাঝে মাঝে চিঠি দিস। আর দ্যাখ, রােজ একঘেয়ে খে লে অরুচি হয়,

২৮

২৮