Եր লয়লী-মজনু মস্তান । গরীব পরওয়ার, সেটা আপনার মেহেরবানী ! তা—তা আমার এ গরীবখানায়— আমীর । { সহাস্থ্যে ] এমন অসময়ে আসবার প্রয়োজন কি ? কেমন মৌলভী সাহেব ? হঠাৎ মনে কৌতুহল হলো, আপনার ন্তায় উপযুক্ত মৌলভীর তালিম পেয়ে আমার লয়লীর কতখানি ইলম হয়েছে, তাই দেখতে সব কাজ ছেড়ে আপনার দৌলতখানায় ছুটে এসেছি। মস্তান । বহুত আচ্ছা--বহুত আচ্ছা, বড মেহেরবানী আপনার ! আপনার কন্যার বুদ্ধির কথা কি বলবো ! যা অন্যে এক সপ্তাহে ইয়াদ করতে পারে না, লয়লী তা এক ঘণ্টায় কণ্ঠস্থ করে ফেলে ; তারপর লেখা—সে কি লেখা হুজুরালী, যেন মিশর থেকে আমদানি করা আসল মুক্তার মালা ! দেখবেন হুজুরালী ? এই যে দেখাচ্ছি । নিয়ে এসো তোমার তোক্তিখানা । বলবো কি হুজুরালী, আপনার একেবারে তাক লেগে যাবে, বেটি যেন খোরাসানের আসলি তোতা ! লয়লী । [ মস্তানের হস্তে তোক্তি দিল । ] সহসা মজনুর নামে কবিতা লিখিত তোক্তির দিকে দৃষ্টিপাত করিয়া মস্তান ভীতিবিহবলনেত্ৰে লয়লীর মুখের দিকে চাহিলেন । ] আমীর। ওকি, অমন করছেন কেন মৌলভী সাহেব ? কি হয়েছে ? দেখি তোক্তিখানা—{ মস্তান কম্পি৩হস্তে ,৩।ক্তি প্রদান করিলেন । ] একি—এ যে প্রেমের কবিতা ! "শয়নে স্বপনে, জীবনে মরণে মজতু হৃদয়হার।’ মস্তান শী ! মস্তান । হুজুরালী--[ কম্পন ] আমীর । বৃদ্ধ শয়তান ! আমার কন্যাকে তুমি এতদিন এই শিক্ষা দিয়েছ ? বেয়াদব কুকুর । সরল ভেবে বিশ্বাস করে আমি তোমার হাতে আমার কন্যার শিক্ষার ভার সমর্পণ করেছিলুম, আর আজ তার এই প্রতিদান দিলে ? বল বেইমান ? কে এই কমবক্ত মজছ ?
