পাতা:ললিতাসুন্দরী ও কবিতাবলী - অধরলাল সেন.pdf/৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
৪০
ললিতাসুন্দরী।

একদা তুমিই বঙ্গে ছিলে বঙ্গেশ্বর,
নরাধম, দুরাত্মন, পাষণ্ড, পামর!

৩৩

অমনি অনলময় হ’ল মনাকাশ,
বহিল দুখের বায়ু বিষাদ-বাতাস!
জাগিল তাপিত প্রাণ সুপ্ত-বিষধর,
নাগরীর কর ধরি কহিল নাগরি:–

“হয়েছে রজনী বেশি, আসি প্রাণেশ্বরি!
শশীর মিলনে সুখে হাসে বিভাবরী;
প্রমদার প্রেম-সুখে হাসে নিশাকর,
কাঁদে রে অভাগা শুধু ললিত অন্তর!
আসি তবে—হয় বুঝি হৃদয় বিদার—
হয় ত আসিতে, প্রিয়ে, হ’বে না ক আর!
হয় ত ভেদিয়া বক্ষ সেই দুরাত্মার,
দেখিতে হ’বে না মুখ, ললিতে, তোমার!
এই দেখা শেষ দেখা—কেঁদ না, প্রেয়সি,—
ক্ষতি নাই, দেখে লই তব মুখশশী—
মরে যাই, বেঁচে থাকি, কিছু দুখ নাই,
সমরে পামরে হেরি, এই ভিক্ষা চাই;