পাতা:ললিত সৌদামিনী - তারক নাথ.pdf/১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ পরিচ্ছেদ । '(t গেল। পাত্র সমভিব্যাহারে আসা দূরে থাকুক তিনি একখানি পত্রও লিখিলেন না। সাবিত্রীও যার পর নাই চিন্তিত। চষ্টলেন। তনয়ার মুখে তাহার মুখ তনয়ার দুঃখে দুঃখ ; ভাবনায় সেই তনয়াকে কৃশাঙ্গী দেখিয়া সাবিত্রী অতিশয় ভাবনা যুক্ত হইলেন। ললিতকে বিদায় করিয়া দিয়াছেন সে জন্য এক্ষণে হৃদয় আত্মগ্রানিতে সস্তাপিত হইতে লাগিল। কতবার ললিতকে পত্র লিখিতে উদ্যত হইলেন কতবার আবার নিরস্ত হইলেন। যাহাকে একবার বিদায় দিয়াছেন কি লজ্জায় তাহাকে পুনরায় আহবান করিবেন ? এই রূপে যখন তিন মাস অতিবাহিত হইয়া গেল তখন আর সাবিত্রী থাকিতে পারিলেন না। ললিতকে পত্র লিখ্রিলেন । লিখিলেন যে এবার আর বিবাহ সম্বন্ধে কোন সন্দেহ নাই । তাহার আগমন মাত্র প্রতীক্ষ। সৌদামিনীর পিত। যদি রতিপতির ন্যায় রূপবান এবং বৃহস্পতির ন্যায় বিদ্বান, কুলে কুলীনের অগ্রগণ্য পাত্রও লইয়। আইসেন তথাপি সাবিত্রী সৌদামিনীকে ললিতের করে সমৰ্পণ করিবেন । সাবিত্রী এই ভাবিয়া ললিতকে এরূপ পত্র লিখিলেন যে যদি তাহার সৌদামিনীকে সুখী করিতে না পরিলেন তবে তাহার জীবনে ফল কি ? কৌলিন্যের অনুরোধে তিনি নিজ স্বামী বৰ্ত্তমানেও বৈধব্য যন্ত্রণা ভোগ করিতেছেন। তাহার তনয়াকে কখনই যে এরূপ যন্ত্রণ ভোগ করিতে দিবেন না এই রূপ কত সংস্কল্প হইয়া তিনি সৌদামিনীকে কহিলেন "বাছা