পাতা:লাজুকলতা - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কান পেতে রাখে সুবালা। দু’এক পয়সা ভিক্ষে তাকে কে দিচ্ছে না দিচ্ছে, গায়ে পড়ে ভাব করতে চেয়ে কে কি বলছে না বলছে, কোন দিকেই তার মন যায় না । দিন দশেক পরে হতাশ হয়ে সে বেরোনো বন্ধ করে । বলে, তবে আর ক্যান ভিক্ষা করুম ? এবার থানে গতির খাটাই । পঙ্কজের স্ত্রীর ছেলেপিলে হবে। আর দু’একমাস পরে সে একটি রাধুনি রাখার কথা ভাবছিল । সুবালা কাজ খুঁজছে শুনে সে তাকে अदिलcथ दश्व्न कद्धcऊ 5ाम । সুবালা বলে, আপনারা বেরাম্ভন, নীচ জাতের রান্না খাইবেন ? পঙ্কজ বলে, রাখে তোমার জাত । কত সুখে আছি, তার আবার জাত বিচার ! সুবালা দু’বেল পঙ্কজের বাড়ী রোধে দিয়ে আসে, নিজে ওখানেই খায়। বুড়ী দিদিমার বয়সের কঠিন রোগ, বয়স ঠেকিয়ে ওর বেঁচে থাকার পথ্য তৈরী করে দেওয়ার কোনো হাঙ্গামাই নেই। জল ছাড়া প্রায় কিছুই সহ্য হয় না বুড়ীর। সুবালা ডুমুরকে বলে, আমি ঠিক শোধ নিমু। অন্যেরে দিয়া এই প্যাটে পোলা জমাইয়া কোলে করুম। ডুমুর বলে, একশো বার-করিস না কেন ? কারে সঙ্গে থাক নাসতীশ, নকুল আরো কটা মানুষ তো ওৎ পেতে বসে আছে। একজনের সঙ্গে ভিড়ে যা, খেটে খেতে হবে না তোকে । সুবালা বলে, থাকুম-বুড়ীটা মরুক ? আরও কাহিল হইয়া পড়ছে, এই জল হাওয়া সয় না। আর কয়দিন ? বুড়ী চোখ বুজিলেই পুরুষ নিয়া থাকুম। তার পর আবার একদিন আচমকা হরেন এসে হাজির হয় ò > R