পাতা:লাজুকলতা - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নয় ব্যপার, না। স্বাধীনতার প্রশ্ন না। তার প্রতি নলিনীর অদ্ভুত জ্বালার af CKK) ছোট ভাই চেচিয়ে পড়ছে, এমনি চেচিয়ে সেও একদিন পড়ায় মন বসােত, আলস্য কাটাত। পূৰ্ব্ব-বঙ্গের পলাতক আত্মীয়া দু'টি, ম৷ ও মেয়ে, সেঁতসেঁতে উনানটুকুর কোণে মুখোমুখি দাডিয়ে পরামর্শ করছে - সবাইকে খেতে দিয়ে নলিনী যে কাল না খেয়ে ছিল সেই বিষয়ে কি ? অথরা নিজেদের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নিয়ে ? কাকীমা আর খুকীকে এখানে রেখে রমেশকাকা ছেলেকে নিয়ে হোটেলে উঠে যে সুবিবেচনার পরিচয় দিয়েছে সেজন্য কন্যাদের কৃতজ্ঞতার সীমা ছিল না । তবু কাকীমা আর খুকীকে তার মারতে ইচ্ছা হচ্ছে। এত সকালেই সিনেমা হাউসটার কাজ শুরু হয়ে গেছে, সন্ধ্যা পৰ্যন্ত কাজ চলবে । মিন্ত্রী আর কুলির কিরকম মজুরি পায় ? ভালই পায় নিশ্চয়, দিন ভালই চলে নিশ্চয়, নইলে কথায় কথায় ষ্ট্রাইক করার এত তেজ কোথাব্য পোত ! হলদে কার্ডে ওদের রেশন পৰ্যন্ত বেশি বরাদ করা হয়েছে দেশের এমন সঙ্কটের সময়ে । ভবিষ্যৎ গড়বার বা ভাঙবার এই সন্ধিক্ষণ, ওরা যদি শুধু আদায় করার ফিকির ছেড়ে এই দুদিনে এ যেন মুখস্থ করা চিস্তা, তোতাপাখির মত শুধু আবৃত্তি করা নিজের মনে, পরের কাছে। নিজের মনও আর সায় দিতে চায় না । ইট গেঁথে গেথে নূতন দালান উঠেছে, তার এতদিনের পুরাণো বিশ্বাসের ইমারত পড়ছে ভেঙ্গে ভেঙ্গে। ভালই যদি দিন চলে, সুখস্বাচ্ছন্দ্য। আর তেজ যদি বাডে, উদয়াস্ত খেটে কেন মরবো মানুন্য ? 酶 নিজেই কি সে খাটত ? এসব কথা শুনে নলিনী বলে, বোকো না বেশি। এতটুকু আশা ভরসা থাকলে মানুষ যেন কষ্ট সইতে নারাজ হয়। ভবিষ্যতের দিকে > ミ●