পাতা:লাজুকলতা - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

झुT dol চাকরিটা সইয়ে নিতেই মাস তিনেক কেটে যায়। কোন দিকে তাকাবার অবসর পায় না । চাকরী করা মানেই তো শুধু চাকরী করা নয়। রাশি রাশি ব্যবস্থার প্রয়োজন যেন তার চাকরিটার জন্যই ওৎ পেতে ছিল, চাকরী পাওয়া মাত্র একান্ত জরুরী হয়ে উঠেছে। কতদিকে কত যে তাদের অভাব এতদিন নিরুপায় হয়ে মেনে নিতে হওয়ায় যেন ঠিক মত আঁচ করা যায় নি, চাকরী নিয়ে এবার কোনটা ছেড়ে কোনটা মেটাবে, কারটা আগে কারটা পরে মেটাবে, হিসাব করতে বসে যেন দিশেহারা হয়ে যেতে হয় । অভাবের প্রচণ্ড খরায় যেন খ খ করছিল চারিদিক, বেতনের পশলা বর্ষণ শুষে যাওয়ার রকম দেখেই কেবল তার প্রচণ্ডত আঁচ করা २३ । অভাব যে মানুযের অভাব-বোধ ভোতা করে দেয় সেটা আশীৰ্বাদ না অভিশাপ কে জানে । কান্তার মত হিসেবী মেয়ে পর্যন্ত বেশ খানিকটা ভড়কে গিয়ে ভাবে, ও বাবা ! তিনশ’ টাকার চাকরী পেয়ে সে তবে একেবারে স্বৰ্গ রচনা করার স্বপ্ন দেখেছে । সেই সঙ্গে একথাও ভাবে, ইস কি অবস্থাতেই এতদিন তবে আমাদের কেটেছিল ? এটাও সে টের পায় যে তাকে খুব শক্ত হতে হবে। তার তিনশ’ eVRG9