পাতা:লাজুকলতা - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সেটা আশ্চৰ্য্য কিছুই নয়। তাকে নিয়ে মাধবের নামে কুৎসা রটেছে সেটা তো আর সহজ ব্যাপার নয় এদের কাছে। কি করছ মৃদুলা ? কিছু না কান্তাদি। বাড়ীতে এলেই যে হাসিমুখে সানন্দ অভ্যর্থনা জানায়, আজ সে গোমড়া মুখে চেয়ে থাকে কাস্তার নতুন জুতোর দিকে। পরশু নতুন বাড়ীতে উঠে যাচ্ছি, একবার যেও । राiद | মৃদুলার মা গৌরী এঘর থেকে ওঘরে যাবার সময় একবার চোখ তুলে তাকায়, তবু যেন দেখতে পায় নি। এইভাবে তার সঙ্গে একটিও কথা না বলেই চলে যায়। মাধবের বড় জামাই শচীন তাকে দেখে যেন মুচকি হাসিটা চাপা। দেবার জন্যই মুখে হাতের তালু ঘষে দাড়িতে আঙ্গুল বুলোতে বুলোতে নিৰ্ব্বিকার উদাসীন ভাবে জানাল দিয়ে বাইরে চেয়ে থাকার ভাণ করে। নীচে নামবার সময় সিডির মাঝামাঝি মুখোমুখি হয়ে যায় কান্তা আর আমলা। অগত্যা দু’জনকেই দাড়াতে হয় । কান্তা জিজ্ঞাসা করে, শরীর কেমন আছে ? ওই একরকম। ওষুধ গিলছি। ভার মুখের ভাবেও স্পষ্ট ঘোষণা যে ক্ষমা নেই তোমার। আমলাকে শবীর কেমন আছে জিজ্ঞাসা করে আগে কোনবার রক্ষা থাকেনি। একটানা ফিরিস্তি শুনতে হয়েছে শরীরে তার কি কি গ্লানি, কোন কোন ডাক্তার চিকিৎসা করছে, ওষুধ আর পথ্যের কি ব্যবস্থা হয়েছে ইত্যাদি जब केि छूद्र। এই মুখর।তাই একটা লক্ষণ তার রোগের। কান্তার উপর গভীর বিতৃষ্ণা রোগের লক্ষণটাকে পৰ্য্যন্ত যেন আজ চাপা দিয়ে দিয়েছে। vo