পাতা:লাজুকলতা - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বদরদের সঙ্গে তাকে সতর্ক করে দিয়েছে যে সুনাম দুর্লামের ব্যাপারে সে যে নিরূপায় অসহায়া নারী এটা যেন সে ভুলে না যায়। মনের মোড়টাই ঘুরে গিয়েছে কান্তার। না, আসল কথা মোটেই তা নয়। বদনামে মাধবের কিছু আসে যায় না, মুঞ্চিল শুধু তার, এটা একেবারে ভিন্ন ব্যাপার। আসল গলদটা হল এই যে মাধব কেন তাকে চাকরী দেয়, চাকরী দেবার ক্ষমতা পায়। এ একটা কুৎসিৎ অনিয়ম। অনিলকে অথবা তাকে মাধব বেছে নিয়েছে সেটা প্রশ্ন নয়, মাধবের সঙ্গে তার খারাপ সম্পর্ক আছে কি নেই সেটাও আলাদা ব্যাপার, খেয়াল খুন্সীতে মাধব যে চাকরীর জন্য যাকে ইচ্ছা বেছে নিতে পারে এটাই হল নিয়মনীতির ‘আসল ব্যাভিচার । এ ব্যাপারে সে যখন অংশ নিয়েছে, সে ও ব্যাভিচারিণী বৈকি! নইলে সত্যই কি কায়িক ব্যাভিচারের দুর্ণামে তার খুব বেশী আসে যায়, এতখানি বিচলিত হবার প্রয়োজন ঘটে ? সে কি গেয়ে মেয়ে না। সহরেও যে বিরাট সংখ্যক মানুষকে গেয়ে জীবন আঁকড়ে থাকে সেও রয়ে গেছে তাদের স্তরে-এতটুকু বিচুতিতে পাড়ায় যাদের নিয়ে কানাকানি চলে আর মেয়ে বলেই সে কাণাকাণিকে তারও ভয় করতে হবে । শান্তিময়ী আটকে রয়ে গেছে তার যৌবনের দিনগুলিতে। তার ধারনাই নেই। কিভাবে বদলে গিয়েছে রোজগেরে মেয়েদের জীবনসংগ্রামের পরিবেশ পৰ্য্যন্ত । ক্ষোভ নিয়ে বাড়ী ফিরেই কান্ত টের পায়, সকলের মধ্যে গভীর অসন্তোষ। মাসকাবার হয়েছে সে মাইনে পেয়েছে কিন্তু বাড়ীর প্রায় MsDBBDB DBDBDBDB BSLD DD gLLBD DB BD S 8&