পাতা:লাজুকলতা - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তমাল বলে, কপালের কথা বাদ দাও । রোজ খারাপ খবর শুনিবার জন্য অপেক্ষা করছি অনেকদিন ধরে । তাই নাকি ! তবে ভনিত না করেই বলি। যতীনবাবু একটা দোকানের ক্যাশ ভাঙ্গতে গিয়ে ধরা পড়েছেন। তবু ভাল। জেলে খেতে পরতে পাবে। আত্মহত্যা করে নি, এই অনেক ভাগ্যি। DDD DBBD DD SB BB SDDDLBD DBD DBBS DBS দু’জনেই তাকিয়ে দ্যাখে ছেলেমেয়েকে শুকনো রুটি খেতে দিতে গিয়ে তমালের আজ ঘোমটা খসে পড়েছে । নন্দ চলে যাবার পর হেমাঙ্গ দরজায় এসে দাড়ালেও সে যেন ঘোমটা দিতে ভুলে যায়। হেমাঙ্গ বলে, আপনি এবার কি করবেন ? যতীন যাই করুক, আমাদের কিন্তু একটা দায়িত্ব আছে। তমাল বলে, আপনাদের কিসের দায়িত্ব ? আমার দায় আপনাদের ঘাড়ে চাপাবার জন্যই উনি আমায় এখানে টেনে এনেছিলেন । আপনারা ভদ্রলোক তাই ওনার সায় পেয়েও আমাকে বিব্রত করেন। নি। আমার ব্যবস্থা এবার আমিই করে নেব । কি ব্যবস্থা করবেন ? দেখি কি করা যায়। কাছের বস্তি থেকে পঞ্চ দু’বেল এ বাড়ীতে খাটতে আসে। কলতলায় সে বাসন মাজছিল । তাকে ডেকে তমাল জিজ্ঞাসা করে, তোমাদের ওদিকে ঘর পাওয়া যাবে ভাই ? পষ্ণু চমৎকৃত হয়ে বলে, তা পুওয়া যেতে পারে। কাজ সেরে যাওয়ার সময় আমায় ডেকে নিয়ে যেও। ঘরটা দেখে ঠিক করে আসব।