পাতা:লাজুকলতা - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ጭiTቕሃö বাজার থেকে ফিরে জামাটা খুলে বিপিন। খালি গায়ে বাইরের রোয়াকে গিয়ে বসে। বর্ষার গুমোট গরমে হেঁটে বাজার করে আনতে জামাটা ঘামে ভিজে গায়ের সঙ্গে সেঁটে গিয়েছিল । বাইরে বসে গায়ের ঘামটা শুকিয়ে নেবে। হাত পাখাটা ছিল মেয়ের হাতে। ভিতরে বসলে মেয়ে হাওয়া করতে এগিয়ে আসবে । মেয়ের অযাচিত সেবায় বিপিন আজকাল বড়ই অস্বস্তি বোধ করে । হতভাগী মেয়ে। আগের জন্মে বোধ হয়। অনেক পাপ করেছিল, এ জন্মে। তাই এক পাষণ্ডের হাতে পড়ে একেবারে নষ্ট হয়ে গেল জীবনটা । মাস শেষ হয়ে এসেছে। বাজার থেকে নামমাত্র মাছটুকু আনাও আজি ক’দিন বন্ধ রয়েছে। মাছ। এত ভালবাসে রাধা, মাছ ছাড়া মুখে তার ভাত রোচে না । কোথায় রোজগেরে স্বামীর ঘরে দুবেলা মাছ ভাত খাবে, সর্বস্ব খুইয়ে গরীব বাপের ঘাড়ে এসে চেপে শাক পাতা ডাটা চিবিয়ে দিন কাটাচ্ছে। রাধা আজ প্ৰায় এক বছরের বেশী বাপের বাড়ীতে আশ্রয় নিয়েছে, কিন্তু মেয়েটার দুর্ভাগ্য আর পাষণ্ড জামাইটার চিন্তা আজও অভ্যস্ত হয় নি বিপিনের। প্ৰাণের জ্বালা আরও বেড়ে যাচ্ছে দিনের পর দিন । মানুষ এমনভাবে বখে যেতে পারে, এত নীচে নামতে পারে। অধঃপতনের পথ ধরে ? চাকুরে ছেলে ভাল ছেলে বলে কত আশা করে 2 ܠ