পাতা:লাজুকলতা - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এ দূরত্ব যদিন না ঘুচিছে, হাজার চেষ্টা করেও ফাকিটা দূর করা २८ । । বিষ্ণুপদী মৃদু হেসে সায় দেয়। তোমাদের টাইম কটায় ? বিষ্ণুপদ পকেট থেকে একটা ছাপানো হাণ্ডবিল তার হাতে দেয়। সবচেয়ে বড় হরফে তার নাম ছাপানো হয়েছে। সভার স্থান গোবিন্দ মেমোরিয়াল হল, সময় বৈকাল পাচট। 尋 বিষ্ণুপদ জানায় তারা শুধু ছাপা হাণ্ডবিল বিলি করেনি, হাতে লিখে অনেক পোষ্টারিও চারদিকে লাগিয়েছে। সব চেয়ে বড় হরফে তার নাম ছাপানোর জন্য নয়,--নামের মোহ তার কেটে গেছে অনেকদিন আগেই-অনুষ্ঠানটি সফল করার জন্য এদের উৎসাহ ও প্রচেষ্টা প্রশাস্তকে খুন্সী করে। সভায় বহু লোকের সমাবেশটাই তার কাম্য। এরকম অনুষ্ঠানের সার্থকতার দিক থেকে তো বটেই, সেটাই প্ৰথম আর প্রধান কথা, তার নিজের দিক থেকেও বটে। তার অসম্ভব খাটুনি । অল্প লোকের ছোট সভায় বলতে দাড়িয়ে তার মনে হয়, এতখানি সময় লেখার পিছনে দিতে পারলে তার বক্তব্য আরও কত বেশী মানুষকে সে পড়াতে পারত। চারটের পর ট্রেন ছোট ষ্টেশনটিতে পৌছায়। প্ৰশাস্তকে অভ্যর্থনা করার জন্য কয়েকজন ষ্টেশনে অপেক্ষ করছিল। খানিক কথাবাৰ্ত্তার পর তারা সাইকেল রিকৃসায় গোবিন্দ মেমোরিয়াল হলের দিকে যাত্রা করে। যেতে যেতে প্ৰশান্ত লক্ষ্য করে, বেশ আঁটোসাটো ঘনবন্ধ ছোটখাট সহরটি। আশে পাশে কয়েকটা কারখানার চিমনি মাথা উঁচু করে আছে। এখন সভায় গিয়ে বসে লাভ নেই। সাড়ে পাচটার আগে