পাতা:লাজুকলতা - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ৰ্যাপারে একান্ত উদাসীন হলে এবং শুধু এরাই সংস্কৃতি করলেকাদের নিয়ে কাদের জন্য কি সংস্কৃতি এরা করে বোঝা বড়ই कछैिन । সভাপতির আসনে বসে সে মুষ্টিমেয় শ্রোতাদের দিকে তাকায়। আশ্চৰ্য্য, দুৰ্বোধ্য লাগে ব্যাপারটা তার কাছে। এর চেয়ে কত ছোট যায়গায় সভায় গিয়েছে, হাণ্ডবিল পোষ্টার মাইকের সমারোহ ছাড়াই এর বিশগুণ লোক সভায় হাজির হয়েছে। সংস্কৃতি সম্পর্কে উদাসীন হোক-যদিও সেটা কি রকম উদাসীনতা সে কল্পনা করতে পারে না-ৰ্তার নামের কোন আকর্ষণও কি এই সহরের লোকের কাছে নেই ? এতো বিনয় বা অহঙ্কাবের কথা নয়-নাম করা সাহিত্যিকের নামের আকর্ষণ একটা স্বাভাবিক বাস্তব সত্য। যে লোকটা বই লিখে এত নাম করেছে লোকে তাকে স্বভাবতই দেখতে চায়, তার কথা শুনতে চায়। অথচ এত পোষ্টার হাণ্ডবিল সত্ত্বেও এ সভায় যত লোক এসেছে তার অৰ্দ্ধেকের বেশী উদ্যোক্তা এবং সংগঠনের সঙ্গে কোন ও না কোন ভাবে যুক্ত ধরে নিলে সাধারণ শ্রোতার সংখ্যা দাঁড়ায় নামমাত্ৰ ! প্ৰশান্ত একটু ঝিমিয়ে যায়, অস্বস্তি বোধ করে। এমন একটা ধাধায় পড়ে গেলে নিরুৎসাহ না হয়ে অস্বস্তি বোধ না করে মানুষ পারবে কেন । অনেকটা যন্ত্রের মত সভার কাজ চালিয়ে যায়, দেরীতে সভা আরম্ভ করার ওজুহাতে প্রোগ্রাম হেঁটে ছোট কবে দেয়, অল্প কথায় ভাষণ দিয়ে সাড়ে সাতটার মধ্যে কাজ শেষ করে ফেলে। আটটার গাড়ীতে সে ফিরে যাবে। সাইকেল রিকৃসায় ষ্টেশনের দিকে চলতে চলতে দূর থেকে তার কানে ভেসে আসে লাউডস্পীকারের ক্ষীণ আওয়াজ। রিকসা R Sዓ