পাতা:লাজুকলতা - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আনবে-নিজের আনবে অন্যেরা আনবে। জিনিষ আনতে বেশী খরচ লাগবে কেন ? মাধব ভেবে-চিন্তে বলেছিল, তাহলে কলকাতার দরে দিলেও দামী মাল তোর দোকানে কেউ কিনবে না । সহরের বড় দোকান থেকে किनgद । দেখা যায় মাধবের কথাই ঠিক । লোকে সাবান, চিরুনী, চা, খাতা, পেন্সিল এসব টুকিটাকি জিনিষ কেনে তার দোকান থেকে, কিন্তু একটু বেশী দামী জিনিষের দরও জিজ্ঞাসা করে না,-দু’একজন ছাড়া। চেনা লোক যারা তাকে খুব উৎসাহ দিয়েছিল, তারাও ওসব জিনিষ কলকাতা থেকে কিনে Vice দামী জিনিষ দোকানে রাখা বন্ধ করতে হয়েছে শরৎকে । সহরের দরে জিনিষ বেচার নীতিও তাকে ছাড়তে হয়েছে। নগেন বলেছিল, তবেই আপনি দোকান চালিয়েছেন। দাদা ! শুধু মাল আনার খরচ নাকি ? সহরের বড় দোকানে ধারে কারবার নেই, আপনাকে ধার দিতেই হবে । আদায় করা কি ঠেলা, টের পাবেন। কিছু টাকা আটক্লে থাকবেই সব সময়, লক্ষ্মী টাকার মত। সুন্দ যদি না ধরেন। তবে লাভ করবেন কি ? শরৎ জোরের সঙ্গে বলেছিল, আমি কাউকে ধার দেব না, ঘরের ८८७ ॐ | বুড়ো নগেন ফোকলা মুখে হেসেছিল। ধারে মাল বেচিতে হয়েছে শরৎকে, হিসাব করে দু’চার পয়সা দাম বেশীও ধরতে হয়েছে। ধারে মাল না দিলে অর্ধেকের বেশী খন্ধের তার দোকানে আসবে না, খানিক তফাতে রসিকের দোকানে যাবে। fFT HES CMCA