পাতা:লাজুকলতা - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চাকুরে বাবু মাসের শেষের দিকে এসে চায়ের একটা প্যাকেট চায়, প্যাকেটটা হাতে নিয়ে বলে, মাসকাবারে দামটা দেব। চায়ের প্যাকেটটা তখন তাকে ধারে দিতেই হবে। কারণ, সত্যই তার হাত খালি, শাকপাতার দৈনিক বাজারটা ক’দিন কি দিয়ে চালাবে তাই তাকে ভাবতে হচ্ছে । মেয়ের ছেলেকে পাঠাচ্ছে দোকানে, ছেলে জিনিষ নিয়ে বলছে, ቕ†ቕ] cባርኻ ፵iሻ CሻCኛ | যারা চাকুরে নয়, এলোমেলোভাবে যাদের রোজগার, যাদের বেশ কিছুদিন পরে পরে থোক টাকা রোজগার, বরাবর নগদ কিনে এসে হঠাৎ কোন কারণে সাময়িকভাবে যে নগদ কিনতে পারছে না, তাদেরও ধার দিতে হয় । বছরখানেক দোকান চালিয়ে কাবু হয়ে পড়েছে শরৎ । যা কিছু সম্বল ছিল সব সে ঢেলেছে এই দোকানে, এক বছর দোকান চালিয়ে DD DDBDB DDDB SBDBBBD SDDBBDS শুধু ওই ধার দেওয়ার জন্য। কয়েকজনের কাছে বহুকাল অনেক বাকী পড়ে আছে, চেষ্টা করেও টাকা আদায় করতে পারে নি । কানু আর নগেন দুজনেই সাবধান করে দিয়েছিল, ধারে মাল দিতেই হবে কিন্তু লোক বুঝে দিও-সময়মত হোক দেরীতে হোক, টাকাটা যেন আদায় হয়। এক বছরে অভিজ্ঞতা জন্মেছে অনেক কিন্তু আজও সে বুঝতে পারে না। ওই লোক বুঝে ধার দেওয়ার নীতিটা কি ! কে জানে সুভদ্ৰা ভাণ্ডারের রসিক কোন মাপকাঠিতে লোক বুঝে ধার দিয়ে দোকান চালিয়ে লাভ করছে ।