পাতা:লাজুকলতা - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গয়নায় হাত দেওয়া, যেটুকু না হলে বাচাই যায় না সেটুকু ছাড়া সব কিছু প্রয়োজন বাতিল করে দেওয়া-একি জীবন ? তবু কি যেন একটা ছিল ওইভাবে প্ৰাণপণ করে কোনরকমে টিকে থাকা আর আশা করে দিন কাটানোর মধ্যে, তিতো হলেও একটা স্বাদ ছিল জীবনের-হঠাৎ যেন সেই কটু বিশ্ৰী স্বাদটুকু পর্যন্ত চলে গিয়ে ভোতা অর্থহীন হয়ে গেছে বেঁচে থাকা । আজ মাসের তেইশ না চব্বিশ তারিখ কে জানে। মাসকাবারের বেশী দেরী নেই। মাসকাবারে এই অসম্ভব লড়াই শেষ করে তারা গিয়ে উঠবে রমণীর see || বঁাচার লড়াই সেখানেও শেষ হয়ে যাবে না । কিন্তু বেঁচে থাকার মানে যেন ফুরিয়ে গেছে আজ থেকেই । এখানে থেকে নিজেদের বোঝা নিজেরা বয়ে মরে গেলে তার মধ্যে এতটুকু গৌরব না থাক বাচার জন্য লড়াই করতে করতে মরে যাবার মানেটুকু থাকত জীবনের। অবনী বলে, কেন এও তো লড়াই। দরকার হয়েছে। নীচু হয়ে অপমান সইতে যাচ্ছি। অন্যভাবে নীচু হও না, অপমান সও না ? চলো বস্তির একটা সস্তা ঘরে চলে যাই। তুমি কুলি খাটবে, আমি ঝি-গিরি করব। পাশের বাড়ী থেকে চেয়ে আনা খবরের কাগজটা থেকে মুখ তুলে অবনী একটু হাসে। বলে, আসলে তোমার কি হয়েছে জানো ? বৌদির কাছে কি করে নত হবে ভেবে তোমার দম আটকাচ্ছে। তুমি বি-গিরি করতে পারবে, সব কিছু সইতে পারবে-শুধু জায়ের কাছে মান খোয়াতে পারবে না । ছেচকি রাধার জন্য কুমড়োর টুকরোটা কুচি কুচি করে কাটতে \Oy