পাতা:লাজুকলতা - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কিনে এনেছে মনে হয়। আধাসের কাটা মাছ এনেছে, দু’বেলাই আজি \sझा मiछ २icद । সাতজনে খাবে। তবু তামালের মনে হয়, যেতেই যখন হবে, সকাল বেলা চলে গেলেই ভাল হত। কি রাধবে ভেবে চোখে জল আসত না । হেঁচরামি করে ভাসুরের ঘাডে গিয়ে ওঠার বিড়ম্বনায় চোখে যদি জল আসে, খেয়ে গেলেও আসবে না খেয়ে গেলেও আসবে। তাই, বেলা ন’টা নাগাদ বাড়ীর সামনে ভাডা গাভীটি দাডাতে দেখে এবং সেই গাভী থেকে রমণী ও বেলাদের নামতে দেখে তাডাতাডি চোখ মুছে তাকে ভাবতে হয়, ভাগ্যে সকাল বেলাই তাবা বেবিযে পড়ে নি । মাথা ঘুরে গেছে তমালোব। চিঠিৰ জবাৰ না পেযে রমণী সপরিবারে তাদের মান ভাঙ্গাতে এসেছে । অবনীর অনুমান যদি সত্য হয়, রমণী যদি জেনে থাকে তাদের চরম দুরবস্থার কথা, হয় তো তা হলে তাদের নিয়ে যেতেই এসেছে। কিন্তু কি বিশ্ৰী চেহারা হয়ে গেছে ওদের সকলেব ? কিরকম সসঙ্কোচে শ্বলিত পদে বাড়ীতে ঢুকছে ? রমণীর হাতে ছিল একটা সুটকেশ, ছেলেমেযেদেব হাতে তিনটি ভতি থলি। সেগুলি বারান্দায় নামিয়ে রেখে তারা ঘবে ঢোকে। অবনী রমণীকে বলে-দাদা বসুন। তমাল বেলাকে বলে, বসুন দিদি। তারা চৌকিতে বসে। দেহে যেন প্ৰাণ নেই এমনি ভাবে বসে। ছেলেমেয়েরা মাদুরে বসে আড়ষ্টভাবে । আড়ষ্টতা তমালদেরও এসেছে। ভাই-এর দুরবস্থার খবব জেনে নিজেরাই তাদের নিতে এসেছে-এই আশার বালক প্ৰায্য মিলিয়ে 8 O