পাতা:লাজুকলতা - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পােশ (ফচল খবরের কাগজে খবরর বেরিয়েছে যে একটি ছেলে আত্মহত্যা করার জন্য বিষ খেয়েছিল, এখন সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় হাসপাতালে আছে । ছেলেটি আই, এ পরীক্ষা দিয়েছিল। পরীক্ষার ফল প্ৰকাশিত হৰার কয়েকদিন পরে সে বিষ খায় । নীরেন আর বিমল একসঙ্গে পরীক্ষার ফল জানতে যায়। এক কলেজ থেকে পরীক্ষা না দিলেও দু’জনে তারা এক পাড়াতে থাকে। ম্যাটিক তারা দিয়েছিল এক স্কুল থেকেই, এক কলেজে দু’জনে সীট f II পাশের কৃতিত্বে অনেক তারতম্য ছিল দু’জনের। নীরেন খুব ভালভাবে পাশ করেছিল। বিমলের ফলটা সেরকম হয় নি। এবার কি হয়েছে কে জানে! যে রেটে ছাত্রদের ফেল করিয়েছে ভাগ্যবিধাতারা”! পাশের পাসেণ্টেজের খবর শুনে পিলে চমকে গিয়েছিল নীরোনেরও । কে জানে এই জন্যেই এবার প্রাণেশ একটু দমে গিয়েছে কিনা, যে রকম আগ্রহ নিয়ে উদগ্ৰীব হয়ে ছেলের সঙ্গে ম্যাটিকের রেজাল্ট জানতে ছুটেছিল, এবার আর তার সেরকম কোন লক্ষণ দেখা যায় নি। একটু আশ্চৰ্য্যই হয়ে গিয়েছে নীরেন। বাপ যে কি ভাবে তাকে দু’বছর কলেজে পড়িয়েছে, পরীক্ষার খরচ জুগিয়েছে, সেটা তার অজানা নয়। মা’র গয়না বিসর্জন দিতে হয়েছে তাকে পড়িয়ে পাশ কারাবার জন্য। 8 R