পাতা:লাজুকলতা - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

করেছে তারাও এত ফেল করা ছেলেমেয়ের মধ্যে অস্বস্তি বোধ করছে। বৈকি । বিমল একটু হাসে। হাসি তো নয়, যেন প্ৰাণের জ্বালার একটা বালক । বাস। ষ্টুডেণ্ট লাইফ খতম হয়ে গেল। আরেকবার-? ক্ষেপেছিস ? এমন জানলে কলেজেই ভাতি হতাম না। পড়ার নামে দু’বছর সকলের রক্ত শুষেছি। কেউ বাদ যায় নি, সবাইকে ভুগতে হয়েছে। বাচচা বোনটা তো মরেই গেল। আমার কলেজে পড়ার চাপ না থাকলে মরত না, নিশ্চয় মরত না । নীরেন ভয় পেয়ে যায়। যা ভেবেছিল ঠিক তাই হল। বন্ধুর বিরাট ও বিকট ব্যর্থতার আঘাতের প্রতিক্রিয়ায় প্রথম ধাক্কাটা এখন তাকেই সামলাতে হবে। সে কাতরভাৰে বলে, এতটা বাড়াস নে ভাই, এত ছেলে তো ফেল করেছে। একবার ফেল করলে কি হয় ? পড়াশোনো জন্মের মত খতম হয়। দুটো বছর সকলের আর নিজের প্রাণপাত কষ্ট মাঠে মারা যায়। পাশ করলে পড়তাম । কোনদিকে তাকাতাম না। রাত্রে বাবা ঘুমোন কিনা, মা’র হার্ট ক্ষয় হচ্ছে কিনা, ভাইবোনেরা খেতে পরতে পাচ্ছে কিনা, কিছু চেয়ে দেখতাম না । কিন্তু এত করেও যখন ফেল করেছি, এ তামাসার মধ্যে च्यांगाि उभांड्र cनशे । বিমলদের বাড়ীটা আগে পড়ে। বাড়ীর কাছাকাছি এসে বিমল বলে, মরি বঁচি করে বাবা আরেকটা চান্স আমায় দেবেন। নিজেই হয় তো বলবেন, এত টাকা গেল সময় গেল এনজি গেল, আরেকটা 88