পাতা:লাজুকলতা - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বছর চেষ্টা করেই দ্যাখো, নইলে তো সবটাই লোকসান। কিন্তু আমি আর পড়ছি না। এ জুয়াখেলায় চান্স নিতে আমি রাজি নই। নীরেন চুপ করে থাকে। অস্বস্তি বোধ করতে করতে এতক্ষণে তার মনে হতে থাকে যে পাশ করে সে যেন সত্যই নৈতিক আর সামাজিক একটা অপরাধ করে বসেছে। মানুষের জীবন নিয়ে ভাগ্যের খেলার জুয়া আর জুয়াচুরিতে জিতে গেছে। বাড়ীর সামনে এসে বিমল বলে, একমিনিটের জন্য আয় । খবরটা জানিয়ে যা । না ভাই। আজ নয়। কিন্তু বিমল এক রকম জোর করেই নীরেনকে বাড়ীতে ধরে নিয়ে যায়। সাগুর স্যসপ্যান উনুন থেকে নামিয়ে রান্নাঘর থেকে বিমলের মা, আদেক সাবান মাখা ছেড়া ভিজা শাড়িটা তাড়াতাড়ি শত জীর্ণ ভিজা সেমিজটার উপরে জড়িয়ে ফাক কলাতল থেকে বিমলের সতের মাস বয়সে বড় অবিবাহিতা দিদি এবং এদিক ওদিক থেকে বিমলের ভাইবোন আর বাড়ীর অন্যান্য ভাড়াটেদের দু’চারজন মেয়ে পুরুষ এসে তাদের ঘিরে দাড়ায় । বিমল বলে, আমি ফেল করেছি মা | নীরেন। পাশ করেছে। ভূপেন তিনদিন জ্বরে শয্যাগত ছিল। সে ছেলের গলার আওয়াজটাই শুনতে পেয়েছিল, কথা বুঝতে পারে নি। চেচিয়ে বলে, বিমল ফিরেছে নাকি ? ফেল করেছে তো ? বিমলের সতর মাস বয়সের বন্ড দিদি, বিমলের কলেজে পড়ার খরচ যোগাবার অজুহাতে যার বিয়ে স্তগিত রেখে আসা হয়েছে এ পৰ্য্যন্ত, সে নীরেনকে বলে, তুমি পাশ করেছে ? আমাদের খুশীর সীম রইলো না। খাইয়ে দিতে হবে কিন্তু বলে রাখলাম। বিমলটা ফেল করেছে VSVS 8G