পাতা:লাজুকলতা - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

করতে পেরেছে। পরীক্ষা পাশের রোমাঞ্চ-দুটি বছর গরীবের ছেলের প্ৰাণপাত কষ্ট করে সফল হওয়ার উত্তেজক সুখ । বিমল ফেল করে শুধু তাকে দমিয়ে রাখেনি এতক্ষণ, কেমন হতাশায় প্ৰাণ ভরে দিয়েছিল । আশা আর স্বপ্নে আবার উজ্জল হয়ে ওঠে। ভবিষ্যৎ । কিন্তু প্ৰাণেশ কিছু বলে না কেন ? প্ৰাণের হাসি ও গর্বে উজ্জ্বল হয়ে ওঠে না কেন ? दिव्ल प्र°* क८ऊ श्रँ नि । । প্ৰাণেশ আপশোষ করে না, সংক্ষেপে বলে, পারে নি ? পাশ করেই বা কি করত। বাপের মন্তব্য শুনে নীরেন থ’ বনে যায়। যে ছেলে সদ্য সদ্য ভালভাবে পরীক্ষা পাশের সুসংবাদ নিয়ে এসেছে তাকে এমন কথা শোনানো ! বিমলের ফেল করা আর ছেলের পাশ করা ৰ্যাপারটারই যেন বিশেষ কোন মূল্য নেই প্ৰাণেশের কাছে। অথচ তাকে পাশ করানোর জন্য সে গায়ের রক্ত জল করেছে । সুজনের কাছে পেলেও বাপের কাছে ঠিকমত অভিনন্দন না পেয়ে নীরেন একটু ক্ষুন্ন হয়েই ভিতরে যায়। সেখানে অবশ্য তার অভ্যর্থনা জোটে দিগ বিজয়ীর মতই-ছোট ভাইবোনদের কাছে। সকলে তারা হৈ হৈ চেচামিচি সুরু করে দেয়। তের বছরের বোন রেখা উঠানে গিয়ে চেচিয়ে উপর তলায় খবর পাঠিয়ে দেয়, বকুলদি ! ও বকুলদি । দাদা পাশ করেছে ! এক মিনিটের মধ্যে উপরিতলার ভাড়াটে দীনেশের মেয়ে বকুল নেমে আসে। এবার সে ম্যাটিক দিয়েছে। হাসিমুখে হাতটা নীরেনের দিকৈ ৰাড়িয়ে বলে, ছুঁয়ে দাও, পাশের ছোয়াচ লাগিয়ে দাও । ছোয়া লেগে আমিও যদি উৎরে যাই । 8bፖ