পাতা:লাজুকলতা - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সকালেও কান্নাকাটি করেছে, তার একটাও আস্ত জামা নেই। মুদী দোকানে কিছু টাকা না দিলে এবার হয় তো গলায় গামছা দিয়ে অপমান করবে, মাসকাবারে একটা পাঞ্জাবী না করলে আর আপিস করা সম্ভব হবে না প্ৰাণেশের-আজও চলবে চিরদিনের এই একই কথার পুনরাবৃত্তি ? নীরেন নিজেই বলে, জানো, বাড়ীতে একটু হেলুপ পেলে আমি হয় তো প্লেস বাগাতে পারতাম। নিজে নিজে পড়ে হয় না । প্ৰাণেশ আর নীরোনের মা কথা বন্ধ করে এক মুহুর্ত ছেলের মুখের দিকে চেয়ে থাকে। দু’জনেই নিঃশ্বাস ফেলে একসঙ্গে । অভিমান পাক দিয়ে ওঠে নীরেনের মধ্যে। এদের যখন আগ্রহ নেই, ५ांक । शाल अi१श् उधigछ ऊांद्र সঙ্গেই DBD DBD D DD BDO KLL করার মধ্যে তার কোন ভবিষ্যৎ সুচিত হল। উপরে গিয়ে সে বকুলের সঙ্গে কথা বলে । বকুল সাগ্রহে তার কথা শোনে। বি, এ-তে সে আরও ভাল রেজাণ্ট করবে। এবার আরেকটু শক্ত হবে, লোককে বুঝিয়ে দেবে যে উচুদিকের পরীক্ষায় কোন ছেলে যদি ভালু রেজাণ্ট করতে চায় সংসারের দশটা বাজে কাজের ঝামেলা তার ঘাড়ে চাপলে চলে না । বকুল বলে, সত্যি । বিকালে নীরেন। পাড়ার চেনা লোকের বাড়ীতে যায়। যে বাড়ী থেকে কেউ পরীক্ষা দিয়ে ফেল করেছে সে বাড়ী বাদ দিয়ে। পরের দিনটা আত্মীয়স্বজনের বাড়ী ঘুরে কাটিয়ে দেয়। বাড়ীতে যে উদাসীনতা তাকে ব্যথিত করেছিল, সেটা কেটে যায় বাইরের মানুষের সাদর অভিনন্দনে । ট্রাম-বাসের খরচের জন্য একটা টাকা চাওয়ায় প্ৰাণেশ যে ক'ড o