পাতা:লাজুকলতা - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মত বলত, ইস্!! আমাদের ইউনিয়ন ভেঙ্গে দেব-অত খায় না ! আরও জোরদার করাধ আমাদের ইউনিয়ন, পরেশ বাবুদের হটিয়ে দিয়ে আমরা মেজরিটি হব। দীনেশ বলত, তা না তো কি ? তুমি আমি আছি কি করতে ? দীনেশ পাকা বাণু লোক, কাজের লোক-কিন্তু শুধু তাই দিয়েই কি লাগাম ধরে রাখা যায় আজিকালিকার দিনে । হরেনকে সকলে বিশ্বাস করে ভালবাসে। সে নিজেও জানে না ইউনিয়নে তার কতখানি প্রভাব, তার কথাকে সকলে কতটা মূল্য দেয়। দীনেশ ভাবে, ভাগ্যে জানে না ! ভাগ্যের কথা কিনা তাই ভয়ও বেশি। গোকুলের সঙ্গে হরেনকে অনেকক্ষণ কথা কইতে দেখে আতঙ্ক হয় ! -ওর সাথে তোমার অন্ত গুজগাজ কিসের ? -একটা ঘর খালি আছে বলছিল। ঘর বদলাও ঘর বদলাও করে বৌটা পাগল করে দিলে দীনেশন্দা। -ঘর ? আমি তোমায় ভাল ঘর খুজে দেব। কিন্তু সেজন্য কে বসে থাকবে ? ঘর একটা খালি হয়েছে, নগদ নগদ দখল করাই ভাল। তার তো আর নিজের জন্য গোকুলের সঙ্গকে ভয় করার কারণ নেই দীনেশের মত যে ঘরের খবরটা গোকুল দিয়েছে বলে আর ও বাড়ীতে গোকুলও আরেকটা ঘরে থাকে বলে সুযোগটা २वाठिठा क८झ ८नgद । রত্না কেবল বলে, তুমি তো বাইরে দিন কাটাও, দাম আটকে আমি যে মরল্যাম ? শুধু ছোট নয়, সেঁতসেঁতে অন্ধকার ঘর, অন্য ঘরে আরসোলা G8