পাতা:লাজুকলতা - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তাড়ালে এই ঘরের কোণে এসে আশ্রয় নেয়। দু'বেল পৃথিবীর সাৰ উনুন আর চিন্মিনির পেঁয়া যেন এই ঘরে ঢুকতে ভালবাসে ! সস্তা ছিল। ভাল ঘরে টাকা বেশি লাগবে । কিন্তু উপায় কি ? মাসে দু’চার দিন যে মাছ খেত ১·সটা নয় বাদ যাবে। আরও দু’চারটা প্রয়োজন নয় ছাটাই হবে জীবন থেকে । এক বাড়ীতে কাছাকাছি দু’খানা ঘরে গোকুল আর হারেনের ভাব হতে সময় লাগে। গোকুল তাকে কথা বলে বাগিয়ে নেবে এ ভয় কিছুমাত্র না থাকলেও গোকুল যে বিরোধী ইউনিয়নের লোক, এটা হরেন ভুলতে পারে না। বাড়ির অন্য ভাড়াটেদের সঙ্গে সে আলাপ করে, দু’একটা গা-ছাড়া কথা বলে সে গোকুলকে এড়িয়ে যায়। তার সঙ্গে ঘনিষ্টতা করার চেষ্টা গোকুলেরও কিছু মাত্র দেখা যায় না। হরেনকে সে খাতির করে খালি ঘরখানায় ঢোকায় নি। অন্যের কাছে খবর পেয়ে হরেন। শুধু ঘরটা সম্পর্কে তার কাছে খবরাখবর জেনে নিয়েছিল । দু'পক্ষে তাগিদ থাকে। সে আলাদা কথা, কাছাকাছি এসে বাস করছে বলেই নতুন নতুন মানুষের সঙ্গে ঘনিষ্টতা গড়ে তোলার সময়ই বা কই মানুষের, সেরকম মনের অবস্থাই বা কই । তাদের মত মানুষের বইবার সাধ্য ছাডিয়ে অনেক বেশি ভারি হয়ে উঠেছে জীবনযাত্রার বোঝা—খাদ্য বস্ত্র আনন্দ অবসর সব কিছু ছেটে প্রায় সাফ করে আনার পরেও ! একদিকে এই অসম্ভব বাচার লড়াই, অন্যদিকে এমন করে বাসার অভিশাপ শেষ করার লড়াই। সময় কই মানুষের ? গোকুলের বৌ রাণীর সঙ্গে রত্নার ভাব কিন্তু জমে ওঠে খুব তাড়াতাড়ি। আবার অল্পদিনেই তাতে ফাটল ধরে যায়। রাণীর চেহারা ভাল। গড়নটি তার সেই ধরণের যা চোখ টেনে এনে নিজেকে দেখায় । স্বাস্থ্য ভাল, পেট ভরে না, তাই ভাল তরকারীর G