পাতা:লাজুকলতা - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

-ওই যে পাঁচ টাকা ফসকে গেছে, তোমায় আমায় আদায় করতে পারব ? -শুধু ওটা ? আরও আদায় করতে পারব। হরেন ভাবনায় পড়ে যায়, দিন দিন সে যেন রীতিমত ভাবুক হয়ে ওঠে। দেখে বড়ই ঘাবড়ে যায় রত্ন। তার কাছে মানুষটা মুখ গোমড়া করে কি যেন ভেবেই চলে শুধু, ওদিকে রাণীর সাথে দিব্যি হেসে কথা কয় ! গা জম্বালা করে রত্নার } হরোনের মনস্থির করাটা যেন আচমকা ঘটে যায়। হঠাৎ একদিন যেন বোকের মাথায় সে ঠিক করে ফেলে যে দীনেশকে ছেডে গোকুলদের সঙ্গে ভিডে যাবে। সকলের জন্য একটা জোরালো ইউনিয়ন গড়ে তোলাই উচিত। আসলে তার প্রকৃতিটাই এরকম ৷ একগুয়ে সোজা মানুষ, একটা কাজ উচিত ভাবলে তাই নিয়ে টাল বাহানা করা একেবারেই তার ধাতে নেই। দীনেশ প্ৰায় ক্ষেপে গিয়ে বলে, আগেই বলি নি তোকে ও শালার সাথে অতি মিশিস না, ভোকে বিগড়ে দেবে, তোর সর্বনাশ করে छiggद । হরেন চোখ পাকিয়ে বলে, নেশা করেছ নাকি দীনেশন্দা ? তুই তোকারি সুরু করে দিলে ? -নিজের পায়ে কুড়ুল মারছ, তাই বলছি। ওদের সাথে ভিড়লে আখেরে মঙ্গল নেই জেনে রেখো। এসব বুদ্ধি ছাড়ো, আমি বরং চেষ্টা করে আরেকটা প্রমোশন বাগিয়ে দিচ্ছি। —তুমি বড় ইয়ে মানুষ দীনেশদ ! (s a