পাতা:লাজুকলতা - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সে তাই ভাড়ামির সুরেই বলে, সহজে কি হতে পেরেছি রে ভাই ! ভাড়ামির পরীক্ষায় ফেল করতে করতে বেটার ভাড় হয়েছিা! গোপালের মুখ লাল হয়ে যায়। কিন্তু অন্য সকলে হাসে। লোকে সত্যই আশ্চৰ্য্য হয়ে যায়। যে দিনকাল, যে অবস্থা মানুষের, সামান্য উপার্জনে সংসার চালিয়েও কী করে। সদানন্দ জীবনটা এমন হাল্কাভাবে নিতে পারে! কেউ কেউ বলে, গায়ে একদিন ছুচ ফুটিয়ে দেখলে হত ব্যথায় মুখ বঁাকায় কিনা ! বুদ্ধিমানেরা বলে, কি বুদ্ধি তোমাদের । মনটা হাসিখুশি রাখার সঙ্গে শরীরের কি সম্পর্ক ? যোগী সাধক মানুষ-সৰ্বদা আনন্দে থাকে। তাই বলে দেহে যন্ত্রণা হলে কাতরাবে না ? এই নিয়েও মত-বিরোধ আছে। কেউ তাকে বলে যোগী সাধক, কেউ বলে ভাড় । দু’চারজনে পাগলও বলে থাকে । বেশনের দোকানে দাড়িয়ে সে ভয়ার্ত সুরে সকলকে জিজ্ঞাসা করে, হঁ্যা মশায়, আপনারা আমাকে দেখতে পাচ্ছেন তো ? আমি আছি তো ? এযে তার নতুন তামাসার ভূমিকা সবাই তা জানে। সকলে মুচকে হাসে । সকাল বেলা ঈশ্বরের নাম করতে গিয়ে বড়ই খটকা লেগেছে মনে। ঈশ্বব আছেন কি নেই। আমি তা নিয়ে মাথা ঘামাই না মশায় ! মুস্কিল হল, আমি আছ কি নেই সেটা যে শুধু ঈশ্বর জানেন । আমি তবে জানিব কি করে ? মহা ভাবনায় পডে গেছি তাই। একজন বলে, নাই বা রইলেন, অত ভাবনা কি ? ওরে ব্যাপারে! ভূয়ো ৱেশন কার্ডের দায়ে ধরা পড়ব না ? दव्cड बव्नgड qक१ांल श्icन । ܢܓ؟