পাতা:লাজুকলতা - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সে মুচকে মুচকে হাসে। সকলে উৎসুক আগ্রহে তার রসিকতার আসল কথাটুকুর জন্য প্রতীক্ষা করে। হাসবার জন্য প্ৰস্তুত হয়েই সাগ্রহে প্ৰতীক্ষা করে। তারা জানে যে রসিকতার ভূমিকা শুধু তাদের মনোযোগ আকর্ষণ করার জন্য-এবার সে যা বলবে তাতে না হেসে উপায় থাকবে না। তাদের । পর পর সাজান রেশন কার্ডগুলি নিয়ে যে বেচার এ খাতায় ওখাতায় সে খাতায় এটা। ওটা সেটা টুকে নিয়মরক্ষা কুরছিল—সে পর্যস্ত কলামটা উচিয়ে ধরে অপেক্ষা করে। 6श-७ 6ङ1 °{{७ाइॐ (छ्6ठा । সে হাসির গাম্ভীৰ্য দিয়ে মুখটা হস্যকর ভাবে গম্ভীক করে বলে, ভারি সুন্দরী মোযে । কম পেয়ে ক্ষীণাঙ্গা হয়েছে। শার্ডাখানা পরেছে। এমন কায়দা করে যেন সিনেমায় চাকরী খুঁজতে বেরিয়েছে ! আমাকে সোজাসুজি বললে, দ্যাখো, তুমি বাপের সম্পত্তিও ভোগ করবে। আবার মাসে মাসে চাকরি করে সে টাকাও মাসে মাসে খরচ করবে, অথচ ব্যাচেলর হয়ে থাকবে- এটা বে-আইনী কাজ । তোমাকে এভাবে সমাজের সর্বনাশ করতে দেওয়া যায় না। আমাকে বিয়ে করতে হবে । নইলে তোমার নামে কেস করব। একটু থেমে মুখ গম্ভীর করে বলে, সে কি বিপদ ভাই! গলা জড়িয়ে ধরে আর কি ! কি করি ? শেষকালে গলা চড়িয়ে গিরিকেই ডাকলাম -ওগো বাচাও, শীগগির এসে-সবনাশ হল । সশব্দে হাসিতে ফেটে পডে রেশনাধী বালক যুবক বুদ্ধের । খন্দরের শায়া ব্লাউজের উপর রেশন-বিগাহিত সুপারফাইন শাড়ী গায়ে জড়ানো মোটাসোটা মছিলটি বলে, আপনাকে থামে বেঁধে চপবকানো উচিত ! O সে বলে, কেন ? আমি তো মন্ত্রীদের গাল দিই নি । Պ*)