পাতা:লাজুকলতা - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সকলে আরেকবার হাসে । মহিলাটি আরও চটে বলে, আপনি মেয়েদের অপমান করেছেন। সে যেন আঁতকে ওঠে। মুখে ভয় আর হতাশার ভাবটা হাস্যকর রকম প্রকট হয়ে পডে । এ কি বলছেন ? কি সর্বনাশ ! মেয়েরা যে আমার মা ! এবার কেউ হাসে না। ভদ্রমহিলা মুখ ফিরিয়ে ঝামটা দিয়ে दCब्ल, उाएछ ! বরুণ বলে, মিসেস দাস, আপনি ওঁকে চেনেন ? মিসেস রেণুকা দাস শুধু মুখ বাকায়। বরুণ বলে, উনিই আমাদের সদানন্দবাবু । তাতে কি হয়েছে ? রাগ করবেন না, ইনি অতি সদাশিব লোক । কাউকে ইনি খোচা দেন না- এমনিই হাসান ! আজিকালিকার দিনে পাড়ায় একজন হাসাবার মত লোক থাকা কি সহজ ভাগ্যের কথা ! লোকে না খেয়ে মরছে, ন্যাংটো হয়ে থাকছে, তখন ভাড়ামি সয় মানুষের ? তাও আবার মেয়েদের নিয়ে ইয়াকি ! সদানন্দ গম্ভীর হয়ে বলে, এখানে আরও মহিলা উপস্থিত আছেন, তারা কিন্তু রাগ করেন নি । রেণুকা ছাড়া যে পাঁচজন স্ত্রীলোক উপস্থিত ছিল তাদের কেউ মহিলা বলে না। দু’জন হিন্দুস্থানী স্ত্রীলেকের কাপড়ে স্পষ্ট ছাপ লাগানো আছে যে তারা নতুন বাড়ী তুলিবার সময় চূণ বালি বয়, অন্য তিনজন বাঙ্গালী-স্ত্রীলোককে দেখেই বোঝা যায় পেট চালাবার জন্য তারা বি-গিরি ধরণের কাজ করে । এবার কেউ শব্দ করে হাসে না, নীরব হাসিই সকলের মুখে খেলে যায়। রেণুকার মুখ হয়ে যায় আরও বেশী লাল। 8