পাতা:লাজুকলতা - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঝকে নতুন গাড়ী কেনে। কিন্তু এমন সুন্দর দামি নতুন গাড়ী চালাবার আরাম, অন্য অনেক ধ্যাড়ধ্যেড়ে গাড়ীর ড্রাইভারদের ঈর্ষাতুর দৃষ্টি, দশটাকা বেতন বৃদ্ধি, কিছুই যেন খুশী করে না জীবনকে। কলকাতার রাস্তায় নতুন গাড়ী চালাতে তার যেন আরও বেশী ভয় করে, অস্বস্তি Cद१ छ्न्न । সন্ধ্যা উচ্ছসিত হয়ে গাড়ীর এবং ভূপেশের রুচির প্রশংসা করে।. এই গাড়ী চেপে আপিসে যাওয়া আসায় আনন্দে আরামে ও গর্বে যেন প্ৰকাশ্য পথেই নেতিয়ে পড়তে চায় ভূপেশের গায়ে । বোধ হয় এই জন্যই অথবা পুরাণো হয়ে যাওয়ায় তাকে আর ভাল লাগছিল না বলে অথবা অন্য একজনকে পছন্দ হয়েছে বলে, কাজের চাপ আর সময়ের অভাবের অজুহাতে ভূপেশ সন্ধ্যাকে বাড়ী থেকে তুলে নিয়ে আপিস যাওয়া আর তাকে বাড়ী পৌছে দেওয়া বন্ধ マリび奈 (昭和| নলিনীকে আপিসে চাকরী না দিয়েই বিকালের দিকে বাড়ী থেকে তুলে নিয়ে সিনেমায় হোটেলে যায়। সুপ্রিয়া আর তার ছেলেমেয়েদের সাজ-সজ্জার চাকচিক্য, সিনেমা দেখা, বন্ধুদের বাড়ীতে এনে হৈ চৈ করা বেড়ে গেছে। সকলেই ফুতিতে ডগমগ-অন্তত: বাইরে থেকে দেখলে তাই মনে হয়। মুখ শুধু শুকনো আর ক্লিষ্ট জীবনের। বাড়ীর সবাই নতুন গাড়ী চেপে মজা করতে যেতে চায়। বড় ছেলে মোহিত আর মেজ মেয়ে নলিনী দুজনেই সেদিন সকালে ভূপেশের কাছে প্ৰায় একসঙ্গে - দরবার করতে যায় যে দুপুরবেলা দু’ঘণ্টার জন্য গাড়ীটা চাই। re