পাতা:লালন শাহ ও লালন গীতিকা.djvu/১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ 히 ] উদ্ধৃত করেছেন, র্যার, তারই দেওয়া সংজ্ঞা অনুযায়ী, আদে বাউল ন’ন অথবা কেবল মাত্র সখের বাউল’ । তাই তার বাউল মত ও বাউল গানের মধ্যে বিরোধ ঘটেছে স্বাভাবিক ভাবেই । ডক্টর ভট্টাচার্য বাঙলার বাউল গীতিকারদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ এবং পথিকৃৎ হিসেবে লালন শাহকে চিহ্নিত ক’রেছেন বিশেষভাবে । কিল মজার ব্যাপার, তিনি হয়ত খিয়ালও করতে পারেন নি যে, তার ‘বাউল থিওরী জন্মলগ্নেই খণ্ডিত হয়েছে এবং লালন শাহ্ ও র্তার সম্প্রদায় তারগণ্ডী অতিক্রম ক’রে স’রে পড়েছেন। র্তার নিজের উদ্ধত “হিতকরী’ পত্রিকার বিবরণী থেকেই আমরা এই সিদ্ধান্তে পৌছাতে পারি সহজেই। বাঙলার বাউলবিশেষজ্ঞরা লালন সম্পকিত এই বিবরণীটির বিশেষ মূল্য দিয়ে আসছেন গোড়া থেকেই এবং তাতে স্পষ্টই বর্ণিত হয়েছে যে, লালন শাহ্ একজন সিদ্ধপুরুষ ছিলেন। তিনি ‘বাউল’ বা ‘সাধু সেবা দলের কেউ নন।’ হিতকরীতে লালনের পবিত্র যৌন-জীবন ও যৌন-সংযমের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করা হয়েছে। ‘পরদার’ যেমন "ইহাদের নিকট মহাপাপ’ ছিল, "মিথ্যা জুয়াচুরীকেও তেমনি লালন ফকীর বড়ই ঘৃণা করিতেন । লালন বিবাহিত ছিলেন, এমন কি, তার কোনো "সেবাদাসীও ছিলো না । তা হ'লে প্রশ্ন দাড়ায়, ডক্টর ভট্টাচার্যের পূর্বোক্ত সংজ্ঞানুযায়ী লালন ফকীরকে বাউল শ্রেণীভুক্ত করা যায় কি ভাবে ? অতীত কালে খাস বাউল’ সম্প্রদায় ব'লে যাম গণ্য হ’তেন, নাথ-সহজিয়াদের মতো ‘বিন্দু ধারণ করতেন বা "চারিচত্রে' ভেদ করতেন, লালন বা লালনপন্থী ১. ‘হিতকরী’ পত্রিকার বিবরণী, ১২৯৭ সাল (=১৮৯০ ঈ) । (বসন্তকুমার পাল লিখিত "মহাত্ম লালন ফকির” গ্রন্থে উদ্ধত) পৃঃ ২৭। ২. প্রাচীন নাথ ও সহজিয়া সম্প্রদায়ের মতে—“চন্দ্র’ চার রকমের, যথা ১ নিজ চন্দ্র, ২ আষ্ঠ চন্দ্র, ৩ ইলিমিলি চন্দ্র ও ৪ গরলচন্দ্র, যথাক্রমে মল, মূত্র, শুক্র ( বীর্য ) ও রজঃ,—এই চার চিজের