পাতা:লালন শাহ ও লালন গীতিকা.djvu/১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ૭ ] ভূমিকায় উদ্ধৃত (গ্রন্থাভাষে) লালনের পীর পরম্পরা (সিজরা নামা) থেকে তার পরিচয় পাওয়া যাবে। আর লালনপন্থীদের গানে চারিচন্দ্রের উল্লেখ দেখেই যে তাদেরকে নাস্তিক বাউল শ্রেণীর অন্তভুক্ত করা শোভন হবে না, ডক্টর হরেন্দ্রচন্দ্র পাল সাম্প্রতিক কালে একটি প্রবন্ধে তার যথার্থ ব্যাখ্যা দিয়েছেন। • - সত্যি কথা বলতে কি, প্রকৃত তথ্যানুসন্ধান ব্যতীত অথবা অজ্ঞতাবশতঃ এরূপ গুরু বিষয়ে আলোচনা করতে গিয়ে এ ধরনের বিভ্রাস্তির স্বষ্টি হয়েছে । বিশেষ ক’রে লালন শাহ্ ও তার সম্প্রদায় সম্বন্ধে যে এরূপ হয়েছে, বিশেষ অনুসন্ধানের ফলে তা জানতে পারা গেছে । বর্তমান নিবন্ধে তাই লালন শাহ্ ও র্তার অনুসারীদের বিষয়ে বিশেষভাবে আলোক পাতের চেষ্টা করা যাচ্ছে । এটি ঐতিহাসিক সত্য যে, বর্তমান সুধী সমাজে লালন শাহ্ ও র্তার সম্প্রদায় (ইস্কুল ) রচিত লোক-গীতির প্রচার ও বিশ্বসমাজে তার স্বীকৃতি আদায় মূলতঃ কবিশ্রেষ্ঠ রবীন্দ্রনাথের কল্যাণে ঘটে । রবীন্দ্রনাথ কিন্তু তথাকথিত বাউল তত্ত্ব নিয়ে মাথা ঘামানো প্রয়োজন বোধ করেন নি । র্তার সহজ রসবোধ লালনের গানের প্রতি র্তাকে আকৃষ্ট করে । ফলে, তিনি এই অসাধারণ সাধক-কবির তত্ত্বকাব্যকে সাহিত্য-রসিক সমাজের তাই যথার্থই বলেন— “সেই চন্দ্র যদি কোন প্রকারে হয় ব্যয় । বিনি সিনানে কর্ম কৈলে মহাপাপ হয় । বিনি সিনানে যে করএ জলপান । পাপ বাড়এ খায় অভক্ষ সমান ।” ( "আষ্ঠ পরিচয়’, পৃঃ ১৮ ) এমতাবস্থায় তা ভক্ষণ বা পান করার কথা আসতেই পারে না । ১. বাউল তত্ত্বের পূর্বাভাষ ঃ ডক্টর হরেন্দ্রচন্দ্র পাল, (সা-প, শীত ংখ্যা ) ঢাকা, ১৩৭৪ । পৃঃ ২৯