পাতা:লালন শাহ ও লালন গীতিকা.djvu/২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ छ ] এক নম্বর দুশমন, হিন্দু আর্য সমাজীদের গুপ্তচর এবং ৬০৭০ লাখ নিরীহ মুসলমানকে বিভ্রান্তকারী বলেও ঘোষণা করা হয়েছে। শুধু তাই নয়-গ্রন্থকার মাওলানা সাহেব তার এই দাবীর সমর্থনে বসস্তবাবুর পূর্বোক্ত প্রবন্ধটির আগাগোড়া উদ্ধৃতি fদয়ে মন্তব্য ক’রেছেন— “লালন শাহার পরিচয় তো ইহাই দাড়াইল কিন্তু বাউল, তাড়ার ফকীরগণ লালন শাহার সম্বন্ধে কোন পরিচয় না জানিয়া হুজুগে মাতিয়া হিন্দু বৈষ্ণবগণের দেখাদেখি লালন শাহার পরে গা ঢালিয়া দিয়া মোছলমান সমাজের কলঙ্কস্বরূপ হইয়াছে, ইহা অতিশয় পরিতাপের বিষয়” ।” পরিতাপের বিষয় কি না, সে বিচার পরে করা যাচ্ছে, আপাততঃ বর্তমান প্রসঙ্গটি সেরে নেওয়া যাক । বসন্তবাবু-বণিত জীবন-কাহিনীই কম-বেশী পরিবতিত আকারে আমাদের সুধী সমাজে পরিচিত একমাত্র লালন-জীবনী । শুধু তাই নয়, সেদিন থেকে এ যাবত লালন-সম্পর্কে যত আলোচনা হয়েছে, সব খানেই বসন্তবাবুর উদ্ধৃতি দেওয়া হ’য়েছে । অথবা তার কথার প্রতিধ্বনি করা হয়েছে । মাঝখানে ডক্টর উপেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের বিখ্যাত গ্রন্থ প্রকাশিত হ’য়ে বিষয়টিকে আরও ঘোরালো ও জটিল করে তুলেছে । ফলে, আমাদের সুধী সমাজে লালন শাহএকটি সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং কাল্পনিক লোককথার মানুষ হ’য়ে আছেন । সুখের বিষয়, সম্প্রতি লালন-শিষ্য দুদ, শাহ লিখিত লালন-জীবনীর একটি পুথি সহ লালন-জীবনীর বহু প্রামাণ্য তথ্য পাওয়া গেছে, যদ্বারা তার জীবনীর একটি প্রামাণ্য চিত্র উদযাটন করা সম্ভব হ’চ্ছে । ১. বাউল ধ্বংস ফতওয়া ঃ মওলানা রেয়াজউদ্দীন আহমদ । পৃঃ ৬১ “এই ৬০ ৷ ৭০ লক্ষ বাউল ফকিরগণকে প্রকাশ্ব ভাবে পরিচয় করা যায়। কিন্তু আরও এমন বহু সংখ্যক বাউল মত পোষণকারী ব্যক্তি আছে... ” ২. বাউল ধবংস ফতওয়া ঃ মওলানা রেয়াজউদ্দীন আহমদ, পৃঃ ২৬