পাতা:লালন শাহ ও লালন গীতিকা.djvu/২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ 5 তাই এ-কথা নিশ্চিতই যে, হরিশপুর গ্রামে তাদের আদি বাসভূমি (বংশ পরম্পরা বাস ) ছিল এবং তিনি এক বিশেষ খানদানী পরিবারের হতভাগ সস্তান ছিলেন । কেননা, অতি অল্প বয়সেই তিনি ইয়াতীম বা মাতা-পিতা হারা হন । “শিশুকালে সাইজারে তারা ছাড়ি গেলা । অনাথ হইল চাদ বিধাতার খেলা । এমনি নিদান কালে বৈশাখ মাসেতে । শিরাজ সা দরবেশে দেখে নিল ঘরে ।” বাল্য ও কৈশোরের নানা বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে ইয়াতীম শিশু লালন দরবেশ সিরাজ শাহের আশ্রয় লাভ করেন । সিরাজ শাহ গরীব হ'লেও একেবারে নিঃস্ব ছিলেন না। তিনি আবার আমানত উল্লাহ শাহ নামে এক সুফী সাধকের মুরীদ ছিলেন । এই সিরাজ শাহের কাছেই লালন যথাসময়ে এবং ষথা-রীতি সুফী মতে দীক্ষিত হন । বলা বাহুল্য, দীক্ষাকালে সিরাজ তার পীর প্রদত্ত ‘খিরক।” খানিও তার শিষ্যকে উত্তরাধিকার হিসেবে দান করেন। সিরাজ শাহের পর আমানত উল্লাহ, শাহ চট্টগ্রাম নিবাসী ছিলেন। অষ্ঠাবধি তার বিখ্যাত দরগাহ চট্টগ্রাম বখশী বাজারে অবস্থিত রয়েছে। দূর-দূরান্তর হতে ধর্মপ্রাণ ব্যক্তিরা তার মাজার যিয়ারত করতে আসেন। এর অল্প দিন পরে সিরাজ শাহ ও র্তার স্ত্রী ইস্তিকাল করেন। তখন লালনের বয়স ছিল ২৬ বৎসর। এই ঘটনা ঘটে ১২০৫ সালে ( =১৭৯৮)। এই সময়ের একটি ঘটনা এইরূপ । লালন নবদ্বীপে বৈষ্ণব-তীর্থ দৰ্শন করতে যান। এই নবদ্বীপে থাকা কালে ‘পদ্মাবতী' নামে এক বিধবা ক্ষত্রিয় রমণীর সংগে তার পরিচয় হয় । বিধবা লালনের চেহারায় মৃত পুত্রের আদল দেখে তাকে পুত্ৰ সম্বোধন করে নিজ গৃহেই স্থান দান করেন। লালনও বিধবার ব্যবহারে হারানো মাতৃত্বের আস্বাদ পেয়ে মুগ্ধ হন। ফলে এই বিধবার পুত্র-পরিচয়ে নবীপে কিছুদিন