পাতা:লালন শাহ ও লালন গীতিকা.djvu/২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ छ ] তিনি অতিবাহিত করেন । হরিশপুর গ্রামবাসীদের মুখেই এ-কাহিনী শোনা গেছে । এই প্রসঙ্গে উল্লেখযোগ্য যে, বসস্তবাবুর মতে, ‘পদ্মাবতী’ই লালনের আসল মা, এবং তার মাতামহ ভষ্মদাস । • নবদ্বীপ থেকে ফিরে এসে তিনি রাজশাহীর বিখ্যাত খেতুরের এক মেলাতেও গিয়েছিলেন ( ১২২২ সালের কোনো এক সময়ে = ১৮১৫ ঈ ) । খেতুরের মেলায় তিনি নৌকাযোগে’ গমন করেন এবং ফেরার পথে দারুণ বসস্ত ব্যাধিতে আক্রান্ত হন । এই সময়ে তার ভক্তদের মধ্যে কেউ সংগে ছিল না। র্তার পরিচয়ও হয়ত অজ্ঞাত ছিল, তাই নির্দয় নৌকাযাত্রীরা তাকে নদীর তীরে ফেলে রেখে গন্তব্য স্থানে চলে যায় । সৌভাগ্যক্রমে 'মলম’ নামে এক ব্যক্তি র্তাকে নদীতীরে দেখে দয়াপরবশ হ’য়ে নিজ বাড়ীতে নিয়ে যায় । এ-ভাবে লালন নিশ্চি ত মৃত্যুর হাত থেকে রেহাই পান । এক মাস পরে তিনি খোদার কৃপায় ব্যাধিমুক্ত হন। আশ্চর্যের ব্যাপার এই যে, লালনের এই বসন্ত রোগে আক্রান্ত হওয়ার ব্যাপার নিয়ে বহুতর লোক-কাহিনী রচিত হ’য়েছে । তাতে লালনকে জন্মগতভাবে কায়স্থ-সন্তানও বলা হয়েছে । মলম শাহ ছিলেন কালীগঙ্গা নদীতীরের ছেউড়িয়া গ্রামবাসী । এইখানেই বর্তমানে লালনের দরগাহ বিদ্যমান । আর একদিনের ঘটনা । মলম শাহ হঠাৎ আবিষ্কার করেন যে, তার অতিথি সামান্ত মানুষ নন, তিনি কোন কামিল পুরুষ । ব্যাপারটি এই যে, একদিন মলম কুরআন শরীফ তেলাওয়াত কালে একটি মারাত্মক ভুল করেন । সাইজী কাছেই ছিলেন, ভুল সংশোধন করে দিয়ে বলেন— “কি পড় কোরয়ান মিয়া এত ভুল করি । শুনিয়া মলম ভাই পুলকিত ভারি। মিষ্ট বচনে তবে তাহারে শুধায় । ১. ‘পদ্মাবতী নামে এক বিধবা রমণী । নিজাবাসে লয়ে গেল সেই ক্ষত্ৰধনী ।“