পাতা:লালন শাহ ও লালন গীতিকা.djvu/২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ s ] স্বয়ং দুদ, শাহ ও তার সংগে ‘বাহাছ’ বা বিতর্ক ক’রতে এসে পরাজিত হ’য়ে বয়াত গ্রহণ করেন। তিনি নিজেই লিখেছেন— “বাহাছ করিতে গিয়া বয়াত হইনু । আমি অতি অভাজন লালন সাই বিনু ।।’’ তার ওফাত হয় ১২৯৭ সালের পয়লা কাতিক শুক্রবার, মুতাবিক, ১৮৯০ ঈসায়ী। দুদ, শাহের ভাষায় ঃ “বার শত সাতানববই বাঙ্গালা সনেতে । ১লা কাতিক শুক্রবার দিবা অস্তে । সবারে কাদায় মোর প্রাণের দয়াল । ওফাত পাইল মোদের করিয়া পাগল ।” বলা প্রয়োজন, মূল পুথিতে পচানব্বই আছে, কিন্তু পচানব্বই সালের ১লা কাতিক শুক্রবার নয়। হিতকরতে প্রাপ্ত বিবরণীতেও ১৭ই অক্টোবর শুক্রবার বলা হ’য়েছে। এই শুক্রবার সাতানব্বই সাল হ’লেই ঠিক হয়। সংক্ষেপে এই হ’ল লালনের প্রামাণ্য জীবন-কাহিনী । লালন-চরিতের উপসংহারটি বড় করুণ “মো অধমে বাবা বলে কে ডাকিবে । আমার এই দীন মুখে চুম্বন করিবে ।” চরণ দুটিতে ভক্ত-হৃদয়ের করুণ আতি প্রকাশ পেয়েছে। লালনের ওফাতে যদি কেউ ব্যক্তিগতভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে থাকেন, তবে তিনি দুদ, শাহ । বস্তুতঃ দুদ, শাহ ব্যতীত লালন শাহ্ এবং লালন শাহ্ ব্যতীত দুঙ্গ, শাহু কল্পনাই করা যেতে পারে না। অবশি দুদ, শাহ লিখিত বিবরণী থেকে জানা যায়, যশোরের চরচড়িয়া গ্রাম নিবাসী লালনের অন্যতম প্রিয় শিন্ত শুকুর শাহের আশ্রমে বসে একদিন লালন তার আত্মজীবনী র্তার প্রিয়তম শিক্সকে শোনান। পরে সেই কাহিনীই দুদ, লিপিবদ্ধ করেন। তবে দুঃখের বিষয়, তিনি তা ছেপে প্রকাশ করেননি।