পাতা:লালন শাহ ও লালন গীতিকা.djvu/৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( य ) সুফীর বিশ্বাস করেন— “আপন সুরাতে গড়লেন আদম দয়াময় । নইলে কি সব ফেরেস্তায় সেজদা দিতে কয় । দুষে সে আদম সফ আজাজিল হ'ল পাপী মন তোমার লাফালাফি তেমনি দেখা যায় । আদমী চিনলে চেনে আদম পশু কি জানে তার মরম লালন বলে আদ্য ধরম আদম চিনলে হয়” । তুলনীয়—হাদীস শরীফের উক্তি— “খালাকা আদাম। আলো সুরাতিহি” অর্থাৎ আল্লাহ্ আদমকে নিজের সুরতের আদলে গড়লেন। • এই প্রসঙ্গে উল্লেখযোগ্য যে, লালন-গীতিতে ও অন্যান্য মধ্যযুগীয় সুফী সাধকদের গানে তান্ত্রিকতার যে প্রভাব দেখতে পাওয়া যায়, তা বাহ্য । ইড়া’, ‘পিঙ্গলা’, ‘সুষুম্না’, ‘ত্রিবেণী (তিরপানী), ‘চত্র’, ‘সুর্য", অযোনীসহজ-সংস্কার’, ‘শুন্য’ ইত্যাদি পরিভাষাও তাই। "চন্দ্র’ শব্দের ব্যাখ্যা আগেই দেওয়া হ’য়েছে। এবার আরও কয়েকটির ব্যাখ্যা দেওয়া যাচ্ছে । ষোলো শতকের হিন্দী কবিগুরু দাদু তার গানে ‘সহজ’, ‘শুপ্ত’, ‘তিরপানী’ ইত্যাদি শব্দের ব্যবহার ক’রেছেন, কিন্তু সম্পূর্ণ ভিন্ন অর্থে । যেমন— সহজ সমপণ স্বমিরন সেবা । তিরপানি তট সঙ্গম সপরা ।” ১। হযরত আবু হোরাইরা বর্ণিত হাদিস (বোখারী ও মুসলিম শরীফ উভয়েই একমত) মিশকাত শরীফ (আরবী ) কিতাবুল আদব, ১ নং হাদিস । দিল্লী, ১৯৫৬ । পৃঃ ৩৯৭। ২. দাদুঃ ক্ষিতি মোহন সেন সম্পাদিত । বিশ্বভারতী, কলিকাতা, ఏరి8R = Sఫిలిd |