পাতা:লিঙ্গপুরাণ (পঞ্চানন তর্করত্ন).pdf/১০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পূর্বভাগ করিলাম। .প্ৰভো! আমি আপনার পুত্রবধু হইয়। কি না দুঃখভাগিনী হুইলাম ! হে জগদগুরো । ব্ৰহ্মপুত্র! ব্ৰহ্মল! আমাকে দুঃখ হইতে পরিত্রাণ করুন। যাহাই হউক, ইহলোকে বিশ্বব৯ স্ত্রীর বড়ই হীনাবস্থা; হে আৰ্য্যশ্রেষ্ঠ ! বিধবা নারী পরিভূতাই হইয়া থাকে। আমাকে সে কষ্ট হইতে রক্ষা করুন পিত, মাতা, পুত্র, পৌত্র, এবং শ্বশুর ইছারা স্ত্রীলোকের প্রকৃত পক্ষে বন্ধু নহেন। ভৰ্ত্তাই স্ত্রীজাতির বন্ধু এবং একমাত্র গতি। পণ্ডিতগণ যে বলেন ভাৰ্য্যা স্বামীর অৰ্দ্ধাঙ্গ, আমার পক্ষে তাহাও মিথ্যা হইল ; কেননা শক্রি পরলোকে গিয়াছেন, আর আমি জীবিত বস্থায় বর্তমান। মুনিপুঙ্গব! ওi! আমার মন কি কঠিন। আমার সকল উংসবের আধার সেই প্রাণভূল্য পতিকে কি না ছাড়িয়া রহিয়াছি ! বলিষ্ঠ ! যেমন অর্থখ সদৃশ বৃহৎ পাদপ আশ্রয় করিয়া অবস্থিত লতা মূলহীন হইলেও, সত্বর মরে না, সেইরূপ পতিসঙ্গত রমণীরাও বহুক্লেশেও স্নান হয় না ; কিন্তু আমি স্বামী হারাইয়া দীনভাবে অবস্থান করিতেছি। ধীমান আশ্রমী বলিষ্ঠ, পুত্রবধূর কথা শুনিয়া আশ্রমগমনে কৃতনিশ্চয় হইলেন। অরুন্ধতীরও সে বিষয়ে অভিমতি হইল। ভগবান পুণ্যাত্মা বসিষ্ঠ অতি কষ্ঠে ভাৰ্য্যা অরুন্ধতী এবং অদৃশ্বস্তীর সহিত চিন্তাকুলিতচিত্তে ক্ষণমধ্যে আশ্রমে প্রবেশ করিলেন। ৩২-৪৪ হে মুনিবরগণ! পতিব্ৰত শক্রিপত্ন বসিষ্ঠবংশরক্ষার্থ বহুক্লেশে গর্ভ রক্ষণ করিতে লাগিলেন অনন্তর অরুন্ধতী যেমন শক্তিমান শক্তিকে প্রসব করিরছিলেন, সেইরূপশব্ৰুপত্নীও দশমাস পূর্ণ হইলে সুপ্রভ তনয় প্রসব করিলেন। অদিতি যেমন বিষ্ণুকে, স্বাহ ধেমন কাৰ্ত্তিকেয়কে এবং অরণি যেমন অগ্নিকে প্রসব করেন, সেইরূপ শক্রিপত্নীও সাক্ষাং পরশর ঋষিকে প্রসব করিলেন। যেই শক্রির পুত্র ভূতলে অবতীর্ণ হইলেন, অমনি পুণ্যাঞ্চ শক্রি ভ্রাতৃগণের সহিত দুঃখ পরিত্যাগ করিয়৷ পিতৃলোকের সমতা প্রাপ্ত হইসেন্স। হে মুনিপুঙ্গবগণ । তখন সেই বসিষ্ঠপুত্র পিতৃলোকে অবস্থিত হইয়া আদিত্যগণপরিবৃত ভাস্করের স্থায় ভ্রাতৃগণসমন্তিবাহারে শোভা পাইতে লাগিলেন। হে বিপ্লবরগণ । সকলেই মৃত্যগীত করিয়াছিলেন। ভূতলে ব্ৰহ্মবাদি । w ఫి মুনিগণ, আনক্ষপরম্পর। অনুভব করিলেন। সূৰ্য্যসদৃশ তেজস্ব পরাশর, ব্রহ্মাণ্ড হইতে ব্ৰহ্মার স্থায়, জলন্ধজাল হইতে দিবাকরের স্থায়, অদৃশ্বস্তী-গর্ভ হইতে অবতীর্ণ হইলেন। হে দ্বিজগণ । তখন অদৃষ্টতীর পুত্ৰমুখ দর্শন ও মৃত পতির স্মরণ হওয়াতে যুগপৎ সুখদুঃখ হইল। অরুন্ধতী ও বশিষ্ঠেরও যুগপৎ মুখ দুঃখ হইল। বালিক অদৃশুন্তী, নিজ তনয় মহাস্থতি পরাশরের দিকে দৃষ্টিপাত করিয়া বিহ্বলভাবে রোম্বন করিলেন এবং রুদ্ধকষ্ট হইয়া ভূতলে পতিত হইলেন। মুহাসিনী অদৃশুন্তী, মহামতি পরাশর জন্মিবামাত্র তাহাকে দেবদানবগণপূজিত অন্য বলিয়া জানিতে পারিয়া অশ্রুপুর্ণনয়নে বিলাপ করিতে লাগিলেন। হা প্রভে বসিষ্টনন্দন! এই পুত্র দর্শনাভিলাষিণী স্নানমুখী ভাৰ্য্যাকে বনমধ্যে পরিত্যাগ করিয়া কোথায় গমন করিলেন ? তোমার ঔরসজাত অনম্ব পুত্রকে অবলোকন কর। যেমন মহাদেব সহাস্তবদনে নিজপ্রমথগণসমভিব্যাহারে কাৰ্ত্তিকেয়কে অবলোকন করিয়াছিলেন, শক্রে! সেইরূপ তুমিও ভ্রাতৃগণের সহিত মিলিত হইয়া এই নিজ তনয়কে অবলোকন কর। অনস্তর মুনিবর বসিষ্ঠ পুত্রবধুর সেই বিলাপ শ্রবণে দুঃখিত হইয় তাহাকে বলিলেন, “রোন করিও না” । ৪৫–৫১। হরিণ শাবক-নয়ন বসিষ্ট-কুলবধু বালিকা অদৃশুন্তী, বসিষ্ঠের-আজ্ঞাক্ৰমে শোক পরিত্যাগপূর্বক বালকের লালন-পালন করিতে লাগিলেন। একদা শক্রিনন্দন পরাশর অঙ্কপুর্ণনয়ন, শোকাৰ্ত্ত সাধী জননীকে মঙ্গলভিরণ-রহিত দেখিয়া বলিলেন, হে অনন্ধে ! জননি! তোমার এই দেহ মজলাভরণ-শুস্ত বলিয়া চন্দ্রমণ্ডলরহিত রজনীর স্তায় শোভাহীন হুইয়াছে। মঙ্গলাভরণ ধারণ না করিবার কারণ কি ? অন্ধ্য তাহ। বলিতে হইবে। আবার বলিলেন, আ মা ! মা ! অ । শোভনে ! তুমি বিধবার স্তায় মঙ্গলাভরণ ত্যাগ করিয়া বসিয়া আছ কেন; বলিতে হইবে। আর্গুস্ট্র পুত্রের কথা শুনিয়াও ভাল মদ কিছুই বলিলেন না। তখন ভগবান শক্রিমদন, অদৃশুষ্ঠীকে জাবার বলিলেন, মা ! আমার মহাতেজ পিতা কোথায় ? বল, শীগ্র বল। ভক্ষণ করিয়াছে” বলিয়াই ভূতলে নিপতিত হইলেন। । :ேே'