পাতা:লিঙ্গপুরাণ (পঞ্চানন তর্করত্ন).pdf/১১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পূৰ্ব্বভাগ । বলিয়া থাস্তুে। তিনি সৰ্ব্বভূতের চেষ্টাফল বিদিত হন । এই জন্ত স্বল্পতাহেতু সৰ্ব্বত্র বিভক্ত ; সুতরাং মন বলিয়া অভিহিত হইয়াছেন। সৰ্ব্বতত্ত্বের অগ্রজ, মহৎ পরিমাণ ও বিশেষগুণসংযুক্ত, এই জন্যই মহানৃ এই নামে অভিহিত প্রমাঙ্গন ধারণ ও বিভাগ কল্পনা করেন এবং ভোগ-সম্বন্ধ হেতু পুরুষরূপে বিদিত হন, এই জন্ত তিনি মতি নামে অভিহিত । সৰ্ব্বাশ্রয়ত্বহেতুক ভাবসমূহের বৃহত্ত্ব ও বৰ্দ্ধনত্বনিবন্ধন ভাবসমূহকে ধারণ করিতেছেন, এই জন্তই ব্ৰহ্ম নামে অভিহিত। যেহেতু তিনি সমস্ত দেবগণকে অনুগ্রহ দ্বারা পরিপূর্ণ করেন এবং সকলে তাহার নিকট তত্ত্বভাব প্রাপ্ত হন, দেই জন্য তাহাকে পুঃ এই নাম প্রদত্ত হইয়াছে। র্তাহাতেই পুরুষ সকল ভাব এবং হিত বিদিত হন এবং তিনিই সকলকে বোধিত করেন, এই জন্যই বুদ্ধি নামে অভিহিত। তাহা হইতে খ্যাত ও প্রতুপভোগ প্রবৃত্ত হয়, সেই হেতু এবং ভোগের জ্ঞানাধারত্ব হেতু খ্যাতি নামে অভিহিত। তাহার জ্ঞানাদি গুণরাশি সৰ্ব্বত্রই বিখ্যাত, এই জন্তই মহতের আর একটি নাম খ্যাতি । মহত্তত্ত্ব সাক্ষাৎ সমস্তই অবগত আছেন, এই জন্তই ঈশ্বর নামে অভিহিত। যেহেতু তিনি জ্ঞানের অনুচর ; অতএব প্রজ্ঞ নামে অভিহিত । যে কারণ তিনি ভোগের নিমিত্ত জ্ঞানাদিরূপ বহুকৰ্ম্মফল চয়ন করেন, সেজন্য তিনি চিতি নামে অভিহিত। তিনি বর্তমান, অতীত ও ভবিষ্যৎ সমস্ত কাৰ্য্য স্মরণ করেন, সেই জন্ত স্মৃতি নামে অভিহিত । ১২—২৩ । যাহা হইতে সমস্ত জ্ঞান লাভ এবং উত্তম মাহাত্ম্য প্রাপ্তি হয়, সুতরাং লাভও জ্ঞালোদয়-হেতুক তাহার আর একটি নাম সংবিৎ । তিনি সৰ্ব্বত্র, তাহাতেও সমস্ত বর্তমান, সেই জন্ত হে মুনিসত্তমগণ তাহাকে সংবিৎ নামে অভিহিত করে। জ্ঞানধার ভগবানু সৰ্ব্বজ্ঞতা হেতু জ্ঞান এই নাম প্রাপ্ত হইয়াছেন এবং ভববন্ধনাদি-জয়হেতু পণ্ডিতেরা র্তাহাকে ঈশ্বর বলিয়া থাকেন। তত্ত্বভাবজ্ঞ দেবাস্তিত্বচিত্ত্বকগণ আদ্য এবং সৰ্ব্বোত্তম তত্ত্বকে ক্রমবাচক শব্দ দ্বারা ব্যাখা করেন। মহানৃ স্বজনেচ্ছা দ্বারা প্রেরিত হইয়া স্বষ্টি করেন। সঙ্কল্প ও অধ্যবসায় এই দুইটি তাহার বৃত্তি। অনস্তুর রজ দ্বারা উক্তি ত্ৰিগুণ হইতে অহঙ্কারের স্বষ্টি হয়। সেই ভূতাদি সর্গ বহির্ভাগে মহত্তৰ দ্বারা সমাবৃত তমঃপ্রধান অহঙ্কার মইতে পঞ্চতন্মত্রের স্বজক হয়, এই জন্ত পঞ্চস্তাত্র তমোময় ৷ ২৪-৩০। ভূতাদি তামস चएक उपस्थाि अलि रहे नक्ञज रचन У e të) করে। সেই শব্দ-তন্মাত্র হইতে শব্দগুণসম্পন্ন অবকাশাত্মক আকাশের উৎপত্তি । শব্দ-তন্মাত্র আকাশসহযোগে স্পর্শ তন্মাত্রকে আবরণ করেন, সেই স্পর্শ তন্মাত্র শব্দ-স্পর্শগুণান্বিত বায়ুর উৎপত্তি। স্পৰ্শতমাত্র ও বায়ু রূপতন্মাত্রকে আবরণ করিলে, সেই ৰূপতন্মাত্র হইতে জ্যোতির উৎপত্তি। শব্দ, স্পর্শ এবং রূপজোতির এই তিন গুণ। জ্যোতি বিক্ষুব্ধ হইয় রসতন্মাত্র আবরণ করিলে তাহা হইতে সৰ্ব্বরসাত্মক জলের উৎপত্তি। রসতন্মাত্র ও জলবিক্ষুব্ধ হইয়া গন্ধতন্মাত্রকে আবরণ করিলে কঠিন পৃথিবীর তাহা হইতে উৎপত্তি হয়। এই পৃথিবীর অসাধারণ-গুণ ধৰ্ম্ম। সেই সেই স্বক্ষ ভূতে সূক্ষ্ম শব্দাদি অবস্থিত বলিয়া তাহার নাম তন্মাত্র। বিশেষ স্বচন না থাকতে তাহুদিগকে অবিশেষ বলা যায়। তাহারা শান্ত, ঘোর এবং মুঢ় নহে, এই জন্ত তাহাদিগকে অবিশেষ বল যায়। এইরূপে ভূততন্মাত্রের স্বষ্টি । সত্ত্বপ্রধান সাত্ত্বিক অহঙ্কার হইতে যুগপৎ বৈকারিক স্মৃষ্টির প্রবৃত্তি। পঞ্চজ্ঞানেশিয়, পঞ্চকৰ্ম্মেক্রিয় সাধক এই দশেক্রিয়, ইন্দ্রিয়াধিষ্ঠাতা দশজন দেবতা নিজ গুণে জ্ঞান কৰ্ম্ম উভয়াত্মিক মন, ইহাই সাত্ত্বিক অহঙ্কার হইতে উৎপন্ন। কৰ্ণ, ত্বকৃ, চক্ষু, জিহ্বা এবং নাসিক এই পঞ্চ ইন্দ্রিয় শব্দাদি বিষয় গ্রহণোপযোগী জ্ঞান-সাধন ইলিয়। পাদ, পায়ু,উপস্থ, হস্ত এবং বাকু, এই পাঁচট ইন্দ্ৰিয়ই গমন, ত্যাগ, আননা, শিল্প এবং বাক্যরূপ পঞ্চ কৰ্ম্মেরসাধন। ৩১–৫২। শক্তাত্র আকাশ, স্পর্শ ভম্মাত্রে প্রবিষ্ট হওয়াতে বায়ু, শব্দ ও স্পর্শ এই দুই গুণযুক্ত । শব্দ ও স্পশর্তস্মাত্র রূপতন্মাত্রে প্রবিষ্ট হওয়াতে অগ্নির শব্দ স্পর্শ ও রূপ এই তিন গুণ । শব্দ-স্পর্শরূপতন্মাত্র, রসতন্মাত্রে প্রবিষ্ট হওয়াতে জলের শব্দ, স্পর্শ, রূপ, রস এই চার গুণ। উক্ত চার তন্মাত্র গন্ধতন্মাত্রে প্রবিষ্ট হওয়াতে এই পৃথিবী শব্দ, স্পর্শ, রূপ, রস এবং গন্ধ এই পঞ্চগুণযুক্ত। স্থলভূতের মধ্যে পৃথিবীই প্রশস্ত। এই পঞ্চভূত শাস্ত, খোর এবং মূঢ়, এইজন্ত ইহাদিগকে বিশেষ বলা যায়। পরস্পর-সাহায্যে এই ভূতগণ পরম্পর ধারণ করিয়া আছেন। এই পৃথিবীর শেষভাগ লোকালোক পৰ্ব্বতে আবৃত। যাহারা ইক্রিয়গ্রাহ, তাহারাই বিশেষ উত্তরোত্তরসস্তুত ভূতগণ পূৰ্ব্ব পূৰ্ব্ব সম্বন্ধ বলিয়া সেই সকল গুণ প্রাপ্ত হইয়া থাকে। ভলে গন্ধ পাইয়৷ কেহ কেহ গন্ধকে জলের গুণ বলেন, বস্তুতঃ তাহা নহে। গন্ধ পৃথিবীরই গুণ। যেমন পৰিব বস্তু মিঞ্জিত বায়ু হইতে গন্ধ পাওয়া ৰাইলে গৰু বদর গুণ গাই