পাতা:লিঙ্গপুরাণ (পঞ্চানন তর্করত্ন).pdf/১১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

bo 8 ভদ্রপ মহাদি এই সপ্ত প্রকৃতিবিকৃতিই শ্রেষ্ঠ ইহাঙ্গের পরস্পর-আশ্রয়ে পুরুষের অধিষ্ঠানে ও । প্রকৃতির অনুগ্রহে মহৎ হইতে বিশেষ পৰ্যন্ত তত্ত্ব সকল অঞ্চ উৎপাদন করে। এককালে উৎপন্ন জল বুদের গুৰু সেই মহৎ অণ্ড জ্বলোপরি বিশেষ হইতে উদ্ভূত হইয়াছিল। বাহিরে দশগুণ জলে অও, শগুণ তেজে জল, দশগুণ বায়ুতে তেজ এবং দশগুণ আকাশে সমুজাবৃত ছিল। আকাশে বায়ু, ভূতাদিতে_আকাশ, মহতে ভূতাদি ও অবক্তে মহান আবৃত छेिल ।। 6झ् সুব্রতগণ অণ্ডকপালে শৰ্ব্ব, জলে ভব, অগ্নিমধ্যে ভগবান রুদ্র ও বায়ুতে উগ্র বিরাজমান ছিলেন। তখন অবনীমধ্যে ভীম, অহঙ্কারে মহেশ্বর, বুদ্ধিতে ভগবান ঈশ ও সৰ্ব্বত্র পরমেশ্বর ছিলেন। এই সপ্ত প্রাকৃত আবরণে অণ্ড আবৃত ছিল এবং অষ্ট প্রকৃতি পরস্পরকে আবৃত করিয়াছিল। ইহারাই সংহারকালে পরস্পরকে গ্রাস করিয়া থাকে। এইরূপে পরম্পরে উৎপন্ন হইয়া আধারাধেয় ভাবে পরস্পরকে ধারণ করে। ইহারা সকলেই বিকৃতি। মহেশ্বরই মুল; অব্যক্ত হইতে অণ্ডের উৎপত্তি ; সেই অণ্ড হইতে হুৰ্য্যসমপ্রভাশালী পুরুষ উৎপন্ন হইয়াছিলেন। প্তাহাতে ইচ্ছায় কাৰ্য্যকারণ শক্তি নিহিত ছিল। তিনি প্রথম শরীর ধারণ করেন বলিয়া পুরুষ নামে অভিহিত হন। র্তাহার বাম অঙ্গ হইতে পরমেষ্টি-পুরুষের ইচ্ছায় লক্ষ্মীদেবীর সহিত সৰ্ব্বদেব পুজ্য বিষ্ণু এবং দক্ষিণ অঙ্গ হইতে সরস্বতী দেবীর সহিত জগদগুরু ব্ৰহ্মা | আবির্ভূত উৎপন্ন হন। সেই অণ্ডমধ্যে এই সপ্তলোক, সমুদয় জগৎ, চন্দ্র, সূৰ্য্য, গ্রহ, নক্ষত্র, বায়ু, লোকলোক,পৰ্ব্বত ও অপর বাহাকিছু সমস্তই সমৰ্পিত ছিল। হে দ্বিজগণ স্বষ্টিবিষয়ে আমি যে কালসংখ্যা বলিলাম, উহাই পরমেশ্বরের দিন-পরিমাণ। রাত্রি-পরিমাণ উক্ত জিমপরিমাণের সমান বলিয়া জানিবে । তাহার দিনকেই স্বষ্টি ও রাত্রিকেই প্ৰলয় কহে, নতুবা তাহার দিন ও রাত্রি আছে বলিয়া ধারণা করিতে পারা যায় না। লোকের হিতেচ্ছায় এইরূপ সংজ্ঞা দিয়া থাকে মাত্র.4ক্রিয়, বিষয়, পঞ্চমহাভূত, সৰ্ব্বজীব, বুদ্ধি ও দৰগণ এই সমস্ত মহেশ্বরের দিবসে বর্তমান tাকি অস্তে রাত্রিতে লয় প্রাপ্ত হয় এবং পুন|ায় কুব্রিজবসানে বিশ্বের উৎপত্তি হয় । তখন প্রকৃতি ও পুরুষ উভয়ে সমভাবে সত্ত্ব, রজ ও তমোগুণङं श्ञैश् च-दॊषॆंठं भक्ष् ॰द्धिं ब्रह्म मद्भिধৰ্মর লিছিও, কষ্ক্রিয় অৰন্ধান করেন। উদ্ধার নিম্পন্ন সংসর্গে ওতপ্রোপ্ত জ্ঞানে অবস্থিতি বলে। লিঙ্গপুরাণ গুণের সম অবস্থা লয় ও বৈষম্য অবস্থা স্বাক্ট কহিয় থাকে। যেরূপ তিলাভ্যস্তরে তৈল অথবা দুষ্কমধ্যে ধৃত থাকে, অঙ্কপ সত্ত্ব, রজঃ ও তমোগুণে জগৎ অনুস্থত আছে ৪৩—৭৪। প্রকৃতির আদিভূত সেই পরমেশ্বর সমগ্র রজনী উপাসনা করিয়া দিলারস্তে স্বষ্টি-প্রবৃত্তি করেন। তিনি পরম যোগবলে প্রকৃতি ও পুরুষে প্রবেশপূৰ্ব্বক উহাদিগকে ক্ষোভিত করেন। সেই জগদীশ্বর মহেশ্বব হইতে সৰ্ব্বাঙ্ক, শরীরী সনাতন, অজ্ঞেয়স্বরূপ, তিন দেবতা উৎপন্ন হইয়াছিলেন । ইহঁরাই তিন দেবতা ; ইহঁয়াই তিনগুণ ; ইছারাই তিন লোক ; ইহারাই তিন অগ্নি। ইহার পরস্পরানুরক্ত, পরস্পরাশ্রিত, পরস্পরবর্তী ও পরস্পর ধারণকারী। ইহঁারা পরস্পরে মিথুন, পরস্পরে পরস্পবের উপজীবী ; ইহুদিগের পরস্পরের ক্ষণকাল বিয়োগ নাই—ইহঁারা পরস্পরকে ত্যাগ করেন না। ঈশ্বর পরমদেব, বিষ্ণু মহৎ হইতে শ্রেষ্ঠ, ব্ৰহ্মা রজে+ গুণসম্পন্ন ; ইষ্ঠার স্বাক্ট প্রভূতি কাৰ্য্যে প্রবৃত্ত হন। পুরুষকে পর ও প্রকৃতিকে পরা বলিয়া থাকে। সেই প্রকৃতি মহেশ্বরের অধিষ্ঠানে স্বষ্টিপ্রবৃত্ত হয়, তৎপরে মহান তাহার অনুসরণ করিয়া চিরস্থির বলিয়া স্বয়ং বিষয় ভজনা করেন। প্রকৃতির গুণবৈষম্যে স্বষ্টিকাল উপস্থিত হয় । ঈশ্ববাধিষ্ঠিত, সদসদাত্মক সেই মহান হইতে অনুপমতেজঃসম্পন্ন, অজ্ঞেয়স্বরূপ, প্রকাশক, ধীশক্তিশালী, কাৰ্য্যকারণে শক্তিমানূ রুদ্র প্রথমে হন। তিনি প্রথমে শরীর ধারণ করেন, সুতরাং তাহাকে পুরুষ বলিয়া থাকে। র্তাহ হইতে কাৰ্য্যকারণে শক্তিমান, চতুর্মুখ, প্রজাপতি ভগবান্‌ ব্ৰহ্মা সমুদ্ভূত হয়েন। একমাত্ৰ মহেশ্বর এইরূপে তিন মূৰ্ত্তি ধারণ করিলেন। র্তাহারা তিনজনেই সম্পূর্ণ জ্ঞান, ঐশ্বৰ্য্য, ধৰ্ম্ম ও বৈরাগ্য সমন্বিত। তাহারা মনে যাহা যাহা করিতেন, তাহাই তৎক্ষণাৎ সম্পন্ন হইত। ব্ৰহ্মা চতুর্মুখ, কাল অস্তক ও পুরুষ, সহস্ৰমুগ্ধ স্বয়স্থর এই তিন অবস্থা। ব্রহ্মমূৰ্ত্তিতে স্থষ্টি, কালমূৰ্ত্তিতে সংহার ও পুরুষ-মুৰ্ত্তিতে ঔদাসিন্ত, প্রজাপতির এই তিন কাৰ্য্য। ব্ৰহ্মা পদ্মগৰ্ভচ্ছবি, রুদ্র কালানলতুল্য ও পুরুষ পুণ্ডরীক্ষলোচন, ইহাই পরমাত্মরূপ। সেই মহেশ্বর কখন এক, কখন দ্বিধ, কখন ব্রিধা, কখন বা বহুধা শরীর বিভক্ত করেন। তিনি নিজ লীলাবশে মান আকার, মান ক্রিয়া, মাম রূপ ও নানা নাম ধারণ করিয়া থাকেন। তিনি তিন প্রকারে অবস্থান করেন বলিয়া ত্রিগুণ নামে অভিহিত হন। চতুর্ভাগে বিভক্ত খন বলিয়া স্টাইকে চণ্ডুৰ্বাহও বলিয়া থাকে। তিনি