পাতা:লিঙ্গপুরাণ (পঞ্চানন তর্করত্ন).pdf/১১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পূৰ্ব্বজ্ঞাগ। বিষয় সকল প্রাপ্ত হন, গ্রহণ করেন ও ভাগ করেন এবং তঁহীরও অস্তিত্ব সঙ্গ বর্তমান সুতরাং তাঁহাকে আশা কহে । তিনি সৰ্ব্বস্তুৰ্বামী বলিয়া ঋষি, সকলের শ্রেষ্ঠ বলিয়া পরম, রক্ষা করেন বলিয়া ওঁ, সকল জানেন বলিয়া সৰ্ব্বজ্ঞ ও সৰ্ব্বব্যাপী বলিয়া শব্ব । সেই পরমেশ্বরই আপনাকে তিন ভাগে বিভক্ত করিয়া স্বয়ং স্মৃষ্টি, স্থিতি ও সংহার করেন । সকলের আদি বলিয়া তাহাকে আদিদেব, জন্ম গ্রহণ করেন নাই বলিয়া অঙ্গ, প্রজাবৰ্গকে রক্ষা করেন বলিয়া প্রজাপতি, দেবগণের মধ্যে প্রধান বলিয়া মহাদেব, সৰ্ব্বশ্বামী ও কাহারও অধীন নহেন বলিয়া ঈশ্বর, বৃহৎ বলিয়া ব্রহ্ম এবং আবির্ভূত হইয়াছিলেন বলিয়া র্তাহাকে ভূত বলে। র্তাহার ক্ষেত্ৰজ্ঞান আছে, এই জষ্ঠ তিনি ক্ষেত্ৰজ্ঞ, তিনি একমাত্র, এই জন্ত কেবল ; তিনি পুরীতে শয়ন করেন, এই জন্ত পুরুষ ; তাহার আদি নাই ও তিনি সকলের আদি, এই জন্য স্বয়ম্ভু, তিনি যাজ্য, এই জন্য যজ্ঞ, এবং অতীতদশী, এই জষ্ঠ কবি নামে আখ্যাত হন। ক্রমণীয় বলিয়া র্তাহাকে ক্রমণ বলে ; পালন করেন বলিয়া পালক ; কপিল বর্ণ বলিয়া আদিত্য ; অগ্রে জাত বলিয়া অগ্নি এবং হিরন্ময়ের গর্ভ ও হিরণ্যের গর্ভজ বলিয়া তাহাকে হিরণ্য-গর্ভ বলে। ৭৫–১০৬। বিশ্বাত্মা স্বয়ম্বুর কতকাল গত হইয়াছে, তাহ শত শত-বর্ষেও নিরূপণ করা যাইতে পারে না। ব্রহ্মার গত-কাল-সংখ্যা পরাঙ্ক অবশিষ্ট কালও তাঁহাই ধরিয়া লও, তাহার অস্তে প্রলয় হইয়া থাকে। কোটিসহস্র স্বষ্টিকল্প অতীত হইয়াছে এবং পরে কোটি কোটি সহস্র স্বষ্টিকল্প হইবে। হে দ্বিজগণ! সম্প্রতি যে কল্প যাইতেছে, উহাকে বারাহ কল্প বলে ; তদ্বিধয়ে শ্রবণ কর; ইহাই যাবতীয় কল্পের প্রথম। এই কল্পে স্বায়ত্ত্বর প্রভৃতি চতুর্দশ মনু যে গত হইয়াছেন, বৰ্ত্তমান আছেন অথবা হইবেন, তাহার এই সপ্তদ্বীপা সপৰ্ব্বত পৃথিবীকে প্রজা ও ধর্মের সহিত পূর্ণ সহস্ৰযুগ পরি: পালন করবেন; অযিয়ে বিস্তৃতরূপে বলিতেছি শ্ৰৱণ কর। এই এক মাগুর ও কঙ্গের বর্ণনায় অপর সমস্ত মাগুর ও কল্প বুৰিয়া লইবে। জ্ঞানবা ব্যক্তি অতীত করে তা ভবিষ্যৎ কন্ন-বিয়ে উদর্ক ও ক্ষয় চদিকে কেবলমাত্র জলাৰ हिण । नक्छ झेिल 4 ه و না, সুতরাং কোন বস্তুরই উপলব্ধি হইত লা। যখন স্থাবর জঙ্গম নষ্ট হইয়', একাণৰ হইয় গেল, তখন সহস্রাক্ষ সহস্রমূদ্ধ, সহস্রপাৎ, ੋੜ অগোচর পুরুষরূপে ব্ৰহ্মা আবির্ভূত হন। তৎক্সলে নারায়ণসংজ্ঞ কী ব্ৰহ্ম! নিদ্রিত ছিলেন । সত্ত্বগুণের আধিক্যবশতঃ তিনি জাগরিত হইয়া শূন্ত লোকদৈখিলেন। এই নারায়ণ-শব্দের এইরূপ ব্যুৎপত্তি কথিত আছে ;- যথা ‘নর হইতে উৎপন্ন বলিয়া, নার শব্দের অর্থ জল, সেই জল তাহার শয়নস্থান বলিয়া তাহাকে নারায়ণ বলে।” প্রলয়কালে চারিসহস্ৰ যুগ উপাসনা করিয়, তিনি রাত্রি অবসানে স্বষ্টির জন্ত ব্ৰহ্মার স্থষ্টি করেন। সেই ব্ৰহ্মা তৎকালে বায়ুমূৰ্ত্তি ধারণ করা বর্ষাকালীন রাত্রে খদ্যেতের স্তায় জলেপরি বিচরণ করিতে লাগিলেন। তংপরে অনুমানপটু সেই ভগবান নারায়ণ সেই সলিলমধ্যে পৃথিবী মগ্ন আছে জানিতে পারিয়া, পূৰ্ব্ব পূৰ্ব্ব কল্পের আদি কালের স্থায় ভূমি উদ্ধার করিবার জন্য, মূৰ্ত্তি ধারণ করিবার ইচ্ছা করিলেন। তৎপরে মহাত্মা সেই ভগবান নারায়ণ পৃথিবী চতুর্দিকে জলে আপ্লাবিত দেখিয়া দিব্যমূৰ্ত্তির চিস্ত করিলেন, আমি কি মুক্তি ধারণ করিয়া এই পৃথিবীকে উদ্ধার কবি; এই চিন্তা করিবামাত্র তিনি জলক্রীড়ানুরূপ সৰ্ব্বভূতের অস্থ্য, শলাময়, ব্রহ্মসংজ্ঞক ধারণপূর্বক পৃথিবী উদ্ধারের জন্ত রসাস্তরে প্রবেশ করিনি। অনম্ভর সেই প্রজাপতি সত্বর উপস্থিত হইয়া সলিলাচ্ছন্ন পৃথিবীকে উদ্ধার করিলে সমুদ্রের छत्रु जभूद्ध ९ नवौद्र छण নদীতে প্রবেশ করিল। এইরূপে ভগবান লোক-হিতার্থ রযুতলমগ্ন পৃথিৰীকে দংষ্ট্রদ্বারা উদ্ধার করিলেন। পরে পৃথিবীধর ভগবান পৃথিবীকে স্বস্থানে আনয়নপূর্বক পূৰ্ব্ববং মোচন করিলে, ধবী গুরুতর বলিয়া ভাসমান থাকিল না দেখিয়া ধারণ করিয়া রহিলেন। তখন পৃথিবী সেই জলরাশির উপরে বৃহৎ নৌকার স্থায় প্রতীয়মান হইল। তংপরে ভগবান কমললোচন জগৎ স্থাপন করিবার ইচ্ছায় সেই পৃথিবীকে উৎক্ষিপ্ত করিয়া প্রবিভক্ত করিতে মানস করিলেন। তিনি পুথিবীকে সমাম করিয়া তাহাতে পৰ্ব্বত সঞ্চয় করিলেন। তৎকালে অতি বিস্তৃত পৰ্ব্বত সকল পূৰ্ব্বস্থই সংবর্তক অগ্নিতে দগ্ধ হইলে, সেই অগ্নিতে দগ্ধ হইয় গীর্ণ ৰিক্টৰ্ণ অবস্থায় সেই একাৰে থাকায় শৈত্যবশতঃ সেই বায়ুতে সংহত, হইয়া সৰ্ব্বত্রই অচলভাবে ছিল। তাছাতেই উরাদিগকে অচল বলে; পৰ্ব্ব আছে বলিয়া পৰ্ব্বত ; ষ্টির্ণ