পাতা:লিঙ্গপুরাণ (পঞ্চানন তর্করত্ন).pdf/১২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পূৰ্ব্বভাগ । হইলে সহস্ৰ সহস্ৰ দৈত্যগণ, মৃত্য, হর্ষ ও গান ' করিতে গিল। ৫০-৬২। এবং পরমাত্মরূপী ঈশ্বর দেবেশকে স্তব করিল। অনন্তর ক্ষণকালমধ্যে ইন্দ্রসমেত দেবগণ ধ্বস্তবীৰ্য্য ও প হইয়া ভক্তমে উপেন্দ্র-সমীপে গমনপূৰ্ব্বক অধিষ্ঠান করি •লেন। ভগবান পুরুষোত্তম পরাজিত ও সস্তুপ্ত দেবগণকে দর্শনপূর্বক সস্তপ্ত হইয়া চিন্তা করিতে লাগিলেন ও আমার কি করা উচিত ? পরমেষ্টিপ্রসাদে সেই দৈত্যগণেরও বলহানি করিয়া কিরূপে দেবকাৰ্য্য সিদ্ধি করিব, বিচার করিয়া দেখিলেন। ধৰ্ম্মিষ্ঠ দৈত্যগণের পাপ নাই এইটি নিশ্চয়। সেইজন্ত উপসদোস্তুৰ ভূতগণ তাহাদিগকে বধ করিতে অসমর্থ হইল না। ধৰ্ম্ম আশ্রয় করিলে পাপ বিক্ষিপ্ত হয়, ধৰ্ম্মে সমস্তই প্রতিষ্ঠিত এবং ধৰ্ম্ম আশ্রয় করিলে ঐশ্বৰ্য্য লাভ হয়, এই প্রকার সনাতনী শ্রুতি আছে। সেই সকল দৈত্য ধৰ্ম্মিষ্ঠ বলিয় তাহারা অবধ্য হইয়াছে। হে দ্বিজপুঙ্গবগণ মহং পাপ করিলেও যাহারা রুদ্র-অৰ্চন করে তাহারারুদ্রপরায়ণ হইয়া মুক্ত হইবে। স্থত কহিলেন, হে দেবগণ! সেই জন্ত আমি দেবকাৰ্য্যাৰ্থ নিজ মায়ায় দৈত্যগণের ধৰ্ম্মবিঘ্ন আচরণ করিয়া ক্ষণকালমধ্যে ত্রিপুর জয় করিব। স্থত কহিলেন, ভগবান পুরুষোত্তম এরূপ বিচার করিয়া সুরারিগণের ধৰ্ম্ম শিল্প মনে মনে করিতে ব্যবসিত হইলেন । ৬৩-৭২। নারায়ণ বললেন, অচ্যুত মায়া অবলম্বন করিয়া অহাদিগের ধৰ্ম্ম বিয়ার্থ আত্মসস্তব মায়াময় পুরুষ স্বজন করিলেন। কামরূপর্ক্ ও জগতের শাস্ত পুরুষোত্তম যাহাড়ে ধৰ্ম্মবিদ্ধ হয় ; এতাদৃশ মায়াময় শাস্ত্রও প্রচার । করিলেন। সেই শাস্ত্র সকলের মোহজনক ও দৃষ্টপ্রত্যয়জনক। নিজাঙ্গসমুৎপন্ন পুরুষকে এই মায়াময় শাস্ত্র উপদেশ প্রদান করিলেন। ইহাতে ষোললক্ষ গ্রন্থ আছে; এই শাস্ত্র-শ্রেীত ও স্মাৰ্ত্তবিরুদ্ধ ও বর্ণাশ্রম-বর্জিত। ইহাতে অন্ত আর কিছুই নাই; কেবল ইহকালেই স্বর্গ ও নরক এইরূপ জ্ঞানজনক বাক্যই ইহাতে নিবেশিত। ভগবা হরি, অচ্যুত স্বয়ং আত্মসম্ভব পুরুষকে সেই শাস্ত্র উপদেশ করিয়া পুরুত্ৰয়বিনাশাখ তাহৰে কহিলেন, ভোঃ পুরুষ! তুমি সত্বর ত্রিপুরমাশার্থ গমন করিতে উদ্যোগী হও এবং সেই স্থানে গমন করিলে তাহাদিগের শুক্তি-স্মৃতি প্রতিপাদ্য ধৰ্ম্ম সকল লিষ্ট হইবে ; ইহাতে সংশয় নাই। অনস্তর মাশাঙ্কবিশারদ সেই পুরুষ, তাহলে প্ৰণাম করির সত্বর ত্রিপুরুখের প্রবেশপূর্বক মুনিবেশবার অর্থাৎ, नाकामूनि अरे नरवदे क्षिाउ श्रु७ भांश चित्र "రీ করিলেন। ত্রিপুরবাসী দৈত্যগণ, তাহার মায়ায় মুগ্ধ হইয়া শ্রুতি-স্মৃতি-নিম্পন্ন ধৰ্ম্ম ত্যাগপূৰ্ব্বক অহার শিষ্য হইল এবং পরমেশ্বর শঙ্করকে পরিভাগ কলি। ভগবান বিষ্ণুর আদেশে ঋষিসত্তম নারদও মায়া ভাবলম্বন করিয়াসেই নগরে প্রবেশপুৰ্ব্বক মায়ী শাক্যমুনির সহিত দীক্ষিত হইয়া শিষ্য ও প্রশিষ্যগণে স্বয়ং পরিবৃত্ত হইলেনী এবং তিনি স্ত্রীগণের অভিচার-ফল-সিদ্ভিদ স্ত্রীধৰ্ম্ম প্রচার করিলেন। ত্রিপুরবাসিনী বনিতার অভিচারক্রিয়ার সদ্যই ফল লাভ হয়, দেখিয় স্ট্রীধৰ্ম্ম(ব্ৰতাদি ) আচরণ করিতে লাগিলেন এবং তাহারা পতিরূপ দেবতার নিন্দা করিয়া অন্ত পুরুষে আসক্ত হইল। কলিযুগে অদ্যপি নারদ মুনির গৌরব বিখ্যাত আছে । ৭৩-৮৪ । তাহাতেই অধম নারীগণ স্ব স্ব ভক্ত পরিত্যাগ করিয়া স্বৈরচারিণী হয়। স্ত্রীগণের ভৰ্ত্তাই মাত পিতা বন্ধু সখা মিত্র ও বান্ধব ইহাতে সংশয় নাই ; তাহারা ভৰ্ত্তার প্রেমে পুলকিতগাত্রা হইয়া যদি মহং পাপ করে, তাহা হইলেও পরম স্বর্গলাভ করিবে ; ইহার বিপৰ্য্যয় ঘটিলে নরকগামিনী হইবে । হে মুনিশাদূলগণ! যাহারা অদ্বিতীয় সাধী, তাহারা সৰ্ব্বধৰ্ম্ম অন্তদেবগণ ও জগদগুরু ইহাদিগকে পূজা না করিয়া কেবল পতিপুজা করতে স্বৰ্গলোক প্রাপ্ত হইয়া জরশৃষ্ঠা হওত নিত্য সুখভোগ করিতেছেন ; অন্যাসক্ত বনিতারা নরকগামিনী হইয়াছে। সেই জন্ত স্ত্রীণর ভৰ্ত্তাই পরম উপায় স্বরূপ। এস্থলে সুক্ষরীরা বিষ্ণুর আহ্বায়ু বশীভূত হওয়াতে পূৰ্ব্বোক্ত পাতিব্ৰত্য ত্যাগ করিয়া স্বৈরবৃত্তি হইয়াছিল। তৎকালে বিষ্ণুর আশে অলক্ষ্মী স্বয়ং ত্রিপুরবাসিনী হইলেন এবং যে লক্ষ্মীকে তপোবলে পরমেশ্বর নিকট ছুইতে তাহারা লাভ করিয়াছিল, সেই লক্ষ্মী ব্রহ্মরূপী নারায়ণের আদেশে তাহাদিগকে পরিত্যাগ করিয়া, স্থানান্তরে গমন করিলেন। মায়াময় পুরুষ ও নারদ ইহার উভয়ে দৈত্য ও তৎবনিতাদিগকে বিষ্ণুমায়া-নিৰ্ম্মিত তথাভূত বুদ্ধিমোহ ক্ষণকালমধ্যে দান করিয়া ধৰ্ম্মবিয়ার্থ অসংখ্রস্ত ও মুখাসীন হইলেন। এবং তৎকালে সুশোভন ও স্মৰ্ত্ত ধৰ্ম্ম নষ্ট হইলে, বিশ্বযেনি বিষ্ণু পাষগুধৰ্ম্ম বিস্তার করিলে দৈত্যগণ কর্তৃক মহেশ্বর ও লিঙ্গার্জন পরিক্ত হইলে নিধিত্ব স্ত্রীধৰ্ম্ম নষ্ট হইলে এবং দ্বরাচার কৰ্ম্মে মাসক্ত হইলে দেবগণের সহিত পুরুযোত্তম আপনাকে কৃতাৰ্থ মনে করিলেন। ৮৫-৯৫ । এবং অপোবলে সর্বজ্ঞকে লাভ করিয়া স্তব করিলেন, . পরমাত্মা হে পরমাঞ্চন্‌! তুমি মহেশ্বর। দেব অেধক্ষে নমস্কার, হে শৰ্ম! তুমি নারায়ণ ব্রহ্মরূপী ও মঞ্চ