পাতা:লিঙ্গপুরাণ (পঞ্চানন তর্করত্ন).pdf/১২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পূৰ্ব্বভাগ । স্বন্দকে আলিঙ্গন করিয়া মস্তকাদি আপ্রাণপূর্বক পুত্র! মৃত্য কর এই কথা বললেন। লীলাকরণেচ্ছু কাৰ্ত্তিকও নুত্য করিতে লাগিলেন । অন্ত সকলে র্তাহার সহিত মিলিত হইয়া নৃত্য করিতে লাগিল । গণেশ্বরগণও তাহার সঙ্গে নুত্য আরম্ভ করিলেন । সেই সময় তাহার আজ্ঞাক্ৰমে অথিল ত্রৈল্যেকাবাসী ক্ষণকাল মৃত্য করিল। নাগগণ, ইন্দ্রপুরঃসর দেবগণ মৃত্য ও স্তব করিল। এই সকল দর্শনে অম্বা হৰ্ষিতা হইলেন। অন্তান্ত মাতৃগণ পুষ্প বর্ষণ করিলেন। গন্ধৰ্ব্ব-কিন্নরগণ গান করিল, পাৰ্ব্বতী ও পরমেশ্বর, সেই সময় মৃত্যামৃত পান করিয়া তৃপ্তিলাভ করিলেন। নন্দিপ্রমুখ গণেশ্বরগণও তৃপ্তি লাভ করিল। যদ্রপ অম্বা অন্তাম্বুদে প্রবেশ করে, তদ্রুপ অম্বলবৎ মহাদেব নন্দী সন্মুখ ( কার্কিকেও) ও গিরিরাজপুত্ৰীসহিত কান্তিময় দিব্যভবনে প্রবেশ করিলেন । কিঞ্চিৎ উদ্বিগ্নমনে দেবগণ দ্বারপাশ্বে দণ্ডায়মান হইয়া দেবদেবের স্তব করিলেন। একি। একি ! এইরূপ পরস্পরের মুখ নিরীক্ষণ করিয়া সমাকুল হওত আমরা পাপিষ্ঠ এইরূপ কেহ কেহ মনে করিল, কেহ কেহ আমরা অভাগ্য আর অন্তান্ত দেবগণ দৈত্যেন্দগণ ভাগ্যবান এইরূপও মনে করিল, কেহ তাহাদিগেরই প্রকৃত পূজা-ফল হইয়াছে, কেহ বলিল আমরাই প্রকৃত পুজাফল লাভ করিব, এইরূপ পরস্পর কথোপকথন হইতে থাকিলে, ইহার মধ্যে মহাতেজা কুস্তোদরগণের মধ্যে কোন একগণ দেবগণের অনেক প্রকার শব্দ শ্রবণ করিয়া দণ্ডদ্বারা তাহাদিগকে তাড়ন করিল। ১২৭-৫৩৮। দেবগণ ভয়বিষ্ট হইয় হায় হায় আমরা কি হতভাগ্য । এইরূপ বলিতে বলিতে পলায়নপর হইলেন এবং অনেক মুনিগণ ও দেবগণ ধরণীতলে পতিত হইলেন। তখন কতাপ প্রভৃতি মুনিগণ অহো! বিধি আমাদের প্রতি কি প্রতিকুল ! এই বলিয়া দুঃখ প্রকাশ করিতে লাগিলেন। অপর দ্বিজগণ, দেব-দেবেশকে দর্শন করিলেও অসুরদ্বেষ্ট দেবগণের অভাববশতঃ কাৰ্য্য সমাপ্ত হইল না এইরূপ কহিয়া সকল দেবগণ ও মুনিগণ ইহার “নমঃ শিবায়” এই ময়দ্বারা হৃদয়ে তাহাকে পূজা করিলেন। অনন্তর শূল, হাল, কুন্তল, বলয়, গাধারী, জটজুটবিশিষ্ট, । সৌম্য মহাদেবপ্রিয় মুনি মন্দীশ বুধ আরোহণ করিয়া শিধের আজ্ঞার মুখেত স্থানে গমন করিলেন, অনন্তর কুস্তোদরগণ , নদিকে দর্শন করিয়া নতমস্তকে প্ৰণাম করত ত্বরিত হইয় গমন করিল। যেমন Y S (t মেম্বরূপ বিষ্ণুপুষ্ঠে ভব শোভিত হন, সেইরূপ সগণ ও গণনায়ক মহাতেজ নদী বৃষপৃষ্ঠে দীপ্তি পাইলেন। দশযোজন বিস্তৃত, মুক্তাজাপে ভূষিত শৈলাদি নদীর সিতাতপত্র আকাশবং দীপ্তি পাইল * আকাশ হইতে নিপতিত গঙ্গার স্থায় মুক্তাকাময়ী ছত্রাস্ত রিলম্বিনী মহাদেব মালা শোভা পাইতে লাগিল । অনস্তর হে মুনিপুঙ্গবগণ! গণাধ্যক্ষ দর্শন করিয়া ইত্রের আদেশে দেবদুদুভি ধ্বনিত হইল এবং দেবগণ, ইষ্টপ্রদ ও শুভজনক গণস্বামীকে বাক্য দ্বারা স্তব করিল। যেমন দেবগণ, ভবকে দর্শন করিয়া প্রীতিকণ্টকিতগাত্র হন, সেইরূপ তখনও প্রীতিকণ্টকিতগাত্র হইলেন। খেচরগণ ইন্মের আদেশে নদীর উপর আকাশ হইতে গন্ধাঢ্য পুপবর্ষণ করিলেন। তিনি গগনোদিত পুষ্পবর্ষণে তুষ্ট হইয়া যথার্থ তুষ্টি ও পুষ্টি স্বার দীপ্তি পাইয়াছিলেন। শিবরূপ নন্দী স্নিগ্ধ চন্দ্রলেখাও দেবোংস্কষ্ট গন্ধবারি দ্বারা দীপ্তি পাইলেন । বৃষের পৃষ্ঠভাগ, নানাবিধ পুষ্পম্বারা শোভিত হইল। হে মুব্রতগণ ! যেমন নক্ষত্রপূর্ণ আকাশ শোভা পায় এবং চন্দ্র, আকাশপৃষ্ঠে শোভিত হন; তদ্রুপ বুধপুষ্ঠস্থিত নন্দী কুসুমে আবৃত ইহয়া দীপ্তি পাইলেন। হে হুব্রতগণ । দেবগণ ইস্র ও উপেলের সহিত মিলিত হইয় গণবেষ্টিত নদীত্ত্বে দর্শন করিয়া দেবদেবের স্তায় তাহাকে স্তব করিলে দেবগণ কহিলেন, তুমি রুদ্রভক্ত ও প্রকৃত রুদ্রজপে রত ; অতএব তোমাকে নমস্কার। তুমি রুদ্রভক্তগণের আৰ্ত্তিহারী, গৌদ্রকর্মরত, কুষ্মাণ্ডগণনা ও যোগিপতি তোমাকে নমস্কার। তুমি অভীষ্টপূরক, শরণ্য সৰ্ব্বজ্ঞ, জার্ভিহার, তুমি বেদবেদ্য, হে বেদম্বামিন ! তোমাকে নমস্কার। তুমি বজী, বজ্ৰদংষ্ট্র ও বঞ্জিবঞ্জনিবারী; তুমি বজালদ্রুতদেহ ও বজী কর্তৃক আরাধিত ; তোমাকে নমস্কার। ১৩৯–১৫৭ ৷ তুমি রক্তবর্ণ; তোমার নয়নম্বয় রক্তবর্ণ এবং পরিধান রক্তাম্বর । ভবপাদকমলে অনুরক্ত পুরুষের রুদ্রলোক-প্রদায়ক তুমি সেনাধিপতি, রুদ্রপতি, তোমাকে নমস্কার । তুমি ভূতপতি, ভুবনেশপতি এবং পাপহারী। তুমি রুদ্র ও রুদপতি এবং উংকট পাপহারী; তোমাকে সমস্কার । তুমি মঙ্গলময়, ও রুদ্রভক্ত ; তোমাকে নমস্কার। স্থত কহিলেন, শিলাদাত্মজ গণনায়ক নদী, স্তবে প্রাত হইয়াদেবগণকে কহিলেন, হে দেবগণ । পুরুত্ৰয় বিনষ্ট হইয়াছে, এইটী মলে করিয়া অতি সত্বর ও মৃত্নস্নহকারে শঙ্কুর রথ, সারধি এবং উত্তম শর ও কাশ্মী