পাতা:লিঙ্গপুরাণ (পঞ্চানন তর্করত্ন).pdf/১৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পূৰ্ব্বভাগ অনন্তুর মহাদেব তাহাদিগের ভাব অবগত হইয়। বলিলেন, হে দেবশ্রেষ্ঠগণ। এই পশুভাবে তোমাদিগের কোন ভয় নাই। এই পশুভাব হইতে মুক্তির উপায় শ্রৰগ কর এবং তাহ অনুষ্ঠান করিবে। যে দেবতা দিব্য পাশুপত ব্ৰত আচরণ করিবে, সেই পশুভাব হইতে মুক্ত হইবে। ইহা সত্য প্রতিজ্ঞ। সমাহিত হইয়া অপরে ও আমার এই পাশুপত ব্ৰত করিলে পশুভাব হইতে মুক্তি লাভ করিবে ; হে মুরসত্তমগণ এবিষয়ে সংশয় নাই । যে ব্যক্তি আমরণকাল, স্বাদশ বৎসর, ছয় বৎসর অস্ততঃ তিন বৎসর আমার শুশ্ৰুষা করিবে, সে পশুভাব হইতে মুক্ত হইবে। অতএব হে মুরোত্তমগণ! এই পরম দিব্য ব্ৰত আচরণ করিও ; পশুত্বে ভয় কি । তখন দেবগণ লোকে নমস্কৃত শিবের নিকট “তথাস্থ” বলিয়া পশুভাব স্বীকার করিলেন তাহতেই মুরাসুর নরনিকর প্রভূশিবের পশু। রুদ্রই পশুপতি এবং পশুপাশ-বিমোচক । পশু, এই পাশুপতব্ৰত-প্রভাবে স্বীয় পশুত্ব মোচন করিরে । তাহা করিলে আর পাপী থাকিবে না । ইহাই শাস্ত্রের নিশ্চয়। অনন্তর মহাপরাক্রমশালী সাক্ষাৎ বালক বিনায়ক দেবগণের নিকট পূজিত না হওয়াতে র্তাহাদিগের নিবারণ করত বলিলেন, উত্তম ভোজ্যভক্ষ্যাদি দ্বারা আমার পুজা না করিয়া এ জগতে কি দেবতা কি দানব কোন পুরুষ সিদ্ধি লাভ করিতে পারে ? হে সুরেশ্বরগণ ! আমি দেবগণের প্রধান আমাকে পূজা মা করিয়া কি রূপে কাৰ্য্য করিতে উদ্যত হইয়াছ ? আমি তৎক্ষণাৎ তাহতে বিশ্ন করব । তখন ইন্দ্র প্রভৃতি দেবগণ উীত হইয়৷ নানাবিধ ভোজ্যভক্ষ্য মোদকপিষ্টকাদিদ্বারা সেই প্ৰভু গণপতির পূজা করিয়া তাহকে বলিলেন, আমাদিগের এ কার্য্য নিৰ্ব্বিঘ্নে সমাধা হউক। তখন নিখিল সুরেন্দ্রপ্রধান মহাদেবও নিজপুত্র গণেশকে আলিঙ্গন ও তদীয় মস্তকান্ত্রাণ করিয়া বহুতর পুপ এবং সুগন্ধ সুরস নানাবিধ ভক্ষ্যভোজ্যদ্বারা তাহার পূজা করিলেন। দেবগণ এবং গণাধিপতিগণের সহিত সেই সুমেরু ধম্বা মহেশ্বর ঈশ্বরনায়ক পূজনীয় বিনায়ককে পূজা করিয়া ত্রিপুরাহের জন্তু গমন করিলেন। ও৭-৫• । তখন প্ৰভু দেবগণ, সিদ্ধগণ, ভূতগণ এবং নন্দিপ্রমুখ গণাধিপতিগণ সকলেই স্ব স্ব বাহনে জারূঢ় হইয়া ঈশ্বর দেবদেব মহাদেবের অনুগমন করিতে লাগিলেন। ভগবান্থ মন্ধেশ্বর যেমন মৃত্যুকে বধ कर्हृिदांई छकृ ज*ल , cगईक्रन् मनौ দেবগণ এবং গর্ণনায়কদিগের অগ্র আগ্নে পৰ্ব্বতরাজ |

  • ११

তুল্য বৃহৎ রথে আরোহণ করিয়া ত্রিপুর্নাশের জন্ত গমন করিতে লাগিলেন। তখন দেবগণ, গণ এবং প্রমথগণ সকলেই অস্ত্রশস্ত্র ধারণ কাব্লয়া গঙ্গরাজ, বৃষ বা উৎকৃষ্ট অশ্বে আরোহণপূর্বক গমনপরায়ণ শিলাদপুত্রের অনুগমন করিলেন। অপ্রতিহত-শক্তি গরুড়ধ্বজ, শস্তুর বামভাগে গিরিরাজতুল্য পক্ষীন্দ্র গরুড়োপরি আরূঢ় হইয়া জগতের হিতার্থে ত্রিপুরদাহের জন্ত সত্বর গমন করিতে লাগিলেন। অনেক দেবগণ, সুতীক্ষ্ণ শক্তি, টঙ্ক, গদা, ত্রিশূল, খড়গ প্রভৃতি উত্তম উত্তম অস্ত্র ধারণপূর্বক চতুৰ্দ্দিকু হইতে সেই অপ্রমেয় সুরলোকপতি দেবদানবপ্রভু নারায়ণের অনুগমন করিতে লাগিলেন। কমল-পত্রপ্রভ গরুড়ারূঢ় ভগবান বিষ্ণু সুরগণের মধ্যে সুমেরুশিখরাধিরূঢ় প্রখররশ্মি ভগবান সহস্রাংশুর দ্যায় বিরাজ করিতে লাগিলেন। যেমন গরুড় সৰ্পৰ্বধে গমন করেন তদ্রুপ, মুরগণেষু অগ্রণী ইন্দ, মহাদেবের দক্ষিণে ঐরাবতে আরূঢ় হইয়া ত্রিপুরদাহের জন্ত গমন করিলেন । ৫১-৫৭। তৎকালে সিদ্ধ, গন্ধৰ্ব্ব, সুরেন্দ্র, বীরবৃন্দ, অহল্যোপপতি সুরেশ জগৎপতি সুরেন্দ্র বৃন্দাধিপ সহস্রনয়ন ইন্দ্রকে লীলাপরবশ অম্বাতনয়ের স্তায় প্রণামপূর্বক স্তব করিলেন, জয়োচারণ ও পুষ্পবৃষ্টিও করিলেন। অনন্তর, যম, অগ্নি, কুবের, বায়ু নিঋতি, বরুণ, ঈশান, এই সমস্ত দিকৃপতিগণ শিবের অনুগমন করিলেন। রোম জাখ্য প্রমথগণপরিবৃত রণকুশল বীরভদ্র পুরহননোদ্যত দেবদেব কর নিকটে বুষে আরূঢ় হইয়া নৈঋতকোণে রথের পার্থে গমন করিতে লাগিলেন । অপর মহাদেবের স্তায় মহাতেজা মহাকলেও সগণে বায়ু কোণে রথের পাশ্বে গমন করিতে লাগিলেন । দেবেন্দ্রগণপরিবৃত হিমালয়সন্নিভ গজারূঢ় কাৰ্ত্তিক ও সিদ্ধচারণ ও সেনাসহ অনুগমন করিলেন। মুরৰিয়বিঘাতক বিঘ্নেশ্বর গণেশ, অসুরগণের বিয়ের জন্য বিঘ্নগণের সহিত সেই দেশে মহাদেবের অনুগমন করিলেন। তৎকালে গজেন্দ্রগামিনী অনুরুরক্তপমমত্ত মদচঞ্চলনয়ন মত্তগজচৰ্ম্মপরিধান কালী কালরাত্ৰি সদৃশ করতে শূল কম্পিত করিতে করিতে প্রমত্ত স্বগণ ও পিশাচগণের সহিত গণেশ্বরের পৃষ্ঠদেশে গমন করিলেন। গন্ধৰ্ব্ব, পিশাচ, যক্ষ, বিদ্যাধর, নাগপতি, রেঞ্জ প্রভৃতি সকলে হিমালয়-মদিনী সেই দেবীকে প্রণামপুৰ্ব্বক স্তব ও জয়ধ্বনি করিলেন।" e৮-৬৮। অঙ্গুরস্কাতিনী মাতার স্বয়গণ সাদরে পূজিপ্ত হইয়া ধ্বজধারী প্রমথগণের সতি