পাতা:লিঙ্গপুরাণ (পঞ্চানন তর্করত্ন).pdf/১৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পূৰ্ব্বভাগ | দৈত্যের .পাপ। হে জগন্নাথ ! এজন্ত আপনি লীলা প্রকাশ করুন। হে ঈশ ! হে প্রভো! আপনার রথেই বা কি প্রয়োজন ? পুরত্রয়-দহনে কালই বা কি প্রয়োজন ? বিষ্ণুই বাকেন, আমিই বা কেন ? পুষ্য যোগ আগত হইয়াছে, যে যে পৰ্য্যস্ত মা পুষ্য যোগ অতীত হয়, তাহার মধ্যে ত্রিপুর দগ্ধ করুন। অনস্তর উমাসহচর মহাদেব বিরূপাঞ্চ তৎক্ষণাং কটাক্ষে পুরত্রয় দগ্ধ করিলে পর, ভগবান বিষ্ণু কাল, অগ্নি বায়ু প্রভৃতি সকল দেবতাই শরসমীপস্থ হইয়া মহাদেবকে প্রণাম করিয়া বলিলেন যে, যদ্যপি আপনার কটাক্ষেই ত্রিপুর দগ্ধ হইয়াছে, তথাপি আমাদের হিতের নিমিত্ত শরত্যাগ করুন । অনন্তর ত্রিপুরার্দন ঈশ্বর ধনুজ্য আকৰ্ণ আকর্ষণ করিয়া বাণত্যাগ করিলেন। তৎক্ষণাং ত্রিপুরান্তকর শর দন্ধাবশেষ ত্রিপুর দহন করিয়া দেবদেবের নিকট উপস্থিত হইল এবং প্রণাম করিল। শতকোটি দৈত্য- | বৃত সেই তিনপুর দগ্ধ হইয়া গেল । ১০১—১১৫ । দৈত্যেরাও সেই রুদ্ররূপী বাণের সহিত মহাদেবকে পূজা করাতে, গাণপত্য প্রাপ্ত হইয়াছিল। দেবপুঙ্গব মহাদেব ইন্দাদি দেবগণকে ও হিমালয়সুতাকে ভয়ে তুষ্ট্ৰীস্তাব অবলম্বন করিতে দেখিয়া, “কি এ, এই | কথা সকলকে বলিয়ছিলেন। তৎপরে দেবতারা | র্তাহাকে ইন্দুভূষণ পৰ্ব্বতরাজদুহিতাকে ও গজাননকে প্রণাম করিলেন । পুনরপি দেবদেব মহেশ্বরকেও বন্দনা করিলেন । পিতামহ কহিলেন, হে দেবদেব ! প্রসন্ন হউন। হে পরমেশ্বর ! প্রসন্ন হউন, হে জগন্নাথ প্রসন্ন হউন, হে আনন্দদ ! হে অব্যয় ! প্রসন্ন হউন । তোমার পঞ্চান্ত, তুমি যমেরও যম, তুমি আত্মাত্রয়ে (অর্থাৎ বিশ্ব, প্রাজ্ঞ ও তৈজসরুপে ) উপবিষ্ট, তুমি সকল বিদ্যার কারণ, অতএব তোমাকে প্রণাম করি । তুমি মঙ্গলময় ও মঙ্গলের কারণ, তুমি ভৈরব ও ভৈরবশ্রেষ্ঠ, তুমি স্থৰ্য্যস্বরূপ, তোমাকে নমস্কার । তুমি কোটি বিদ্যুতের স্থায় দেদীপ্যমান। তুমি পৃথিব্যাদিপ্রকাশক রূপ অবলম্বন করিয়াছ। হে মঙ্গলময় ! তোমাকে নমস্কার । ১১৬-১২৫ । তোমার বর্ণ অগ্নির স্থায়, তুমি রৌদ্র, তুমি অম্বিকার্বশরীরী, তুমি রুদ্র, ব্ৰহ্ম ও বিষ্ণুকে মুক্তিদান করিয়া থাক; হে দেব! তোমাকে প্রণাম। তুমি সকলের জ্যেষ্ঠ রুদ্ররূপী উমাসঙ্গী সোম, তুমি বরদান করিয়া থাক। ভূমি ত্রিলোকস্বরূপ, তুমি গে, তুমি বটুকার, তোমাকে প্ৰণাম । তুমি স্থখপদ্ম ও গগনরূপে অবস্থান করিতেছ এবং গগদের উপরও তোমার স্থিতি; তোমাকে } : ఫి প্ৰণাম। তোমারই স্বৰ্য্যাদি অষ্টমূৰ্ত্তি ভূমি অষ্ট পৃথিব্যাদির কারণ; তোমাকে নমস্কার। তুমি চারি ফেরপে অবস্থিত, চারি অtশ্রম তোমারই মূৰ্ত্তিভেদ, চার ব্যুহ তোমার অবয়ব। গগনাদি পঞ্চভূত তোমার মূৰ্ত্তি ; তুমি সদ্যোজাতাদি পঞ্চমন্ত্ররূপী তোমাকে নমস্কার , তুমি চতুঃষষ্টি বর্ণাত্মক তুমি অকারাত্মক তোমাকে নমস্কার তুমি স্বত্রিংশং মাতৃকারূপী ও উকারাত্মক তোমাকে নমস্কার । তুমি আত্মা আট প্রকারে বিভক্ত করিয়াছ ও অৰ্দ্ধমাত্রাত্মক ; তোমাকে নমস্কার। তুমি ওঁকার তোমাকে প্রণাম, তুমি চারি প্রকারে অবস্থিত (অর্থাৎ অকার উকার মকার ও অৰ্দ্ধমাত্রাত্মক ) তুমি গগন ও স্বর্গের ঈশ্বর তোমাকে নমস্কার। তুমি সপ্তলোক-স্বরূপ পাতাল ও নরকেরও ঈশ্বর । অষ্টক্ষেত্রে তোমার অষ্টরূপ , পরাৎপর ! তোমাকে নমস্কার। তুমি সত্ৰ, তোমার সহস্র মস্তক ও সহস্র পাদ অতএব তোমাকে নমস্কার । নবসংখ্যক যে আত্মতত্ত্ব, তুমি তৎ-স্বরূপ ; অতএব নয় আট এই সপ্তদশ আত্মাতে তোমার প্রভুত্ব রহিয়াছে উর:প্রভৃতি অষ্ট্র স্থানে বর্ণ প্রকাশ করিতেছ, অতএব তোমার চতুঃ প্রকার মুক্তি ; তোমাকে নমস্কার । তুমি চতুঃষষ্টিযোগিনীরূপী এবং অষ্টবিধ যে সঙ্খ্যাদিগুণ, সেই গুণ-পরিবৃত ; অতএব তুমি গুণী হইয়াও নিৰ্গুণ ; তোমাকে নমস্কার। তুমি মূলাধারস্থ ও শাশ্বতস্থানবাসী নাউমণ্ডলে বাস করিতেছ ও তুমি হৃদয়ের শব্দকারী প্রাণকীয় তোমাকে নমস্কার । ১২৬—১৩৭ ৷ তুমি কন্ধরায় তালুরস্ত্রে ভ্রমধ্যে ও নাদমধ্যে বাস করিতেছ তেঞ্জাকে নমস্কার । ‘তুমি চন্দ্রমণ্ডলবাসী মঙ্গলময় শিব, তুমি বহ্নি চন্দ্র স্বৰ্য্য-স্বরূপ ; অতএব যট্‌ত্রিংশং শক্তিসম্পন্ন, তোমাকে নমস্কার । তুমি লোক সকলকে সত্ত্বাদিগুণত্রয়ে বেষ্টন করত ভুজগরূপী হইয়া প্রমুপ্ত হইতেছ, তুমি গার্হপত্য আহবনীয় দক্ষিণাগ্নিরূপে তিনপ্রকারে অবস্থিত তোমাকে নমস্কার। তুমি সদাশিব, শান্ত মহাদেব, পিনাকধারী, সৰ্ব্বজ্ঞ, শরণ্য, ও সদ্যোজাত, তোমাকে নমস্কার । হে আধার। হে বামদেব! তোমাকে নমস্কার, তুমি তৎপুরুষ, তুমি ঈশান তোমাকে নমস্কার, তুমি ত্রিশ মুহূৰ্ত্তেই প্রকাশমান, তুমি শাস্ত তুমি মুতীত ; তোমাকে প্রণাম করি। তুমি অনন্ত ব্ৰহ্মাণ্ডের ঈশ্বর, তুমি হুহ্ম, তুমি উত্তম, তোমাকে নমস্কার, জ্ঞানই তোমার অদ্বিতীয় চকু, তুমি একরুড়, তোমাকে নমস্কার। তুমি ব্রহ্মবিষ্ণু । গ্রীকণ্ঠ ও শিখণ্ডধারী ; তোমাকে নমস্কার। তুমি অনন্তআসনে স্থিত; ভূমি