পাতা:লিঙ্গপুরাণ (পঞ্চানন তর্করত্ন).pdf/১৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২৪ উমালোক, কুমারলোক, ঈশানলোক, বিষ্ণুলোক, ব্ৰহ্মলোক, প্রজাপতিলোক, জনলোক ও মহলোকে বিচরণাস্তে ইন্সলোকে যাইয়া অযুক্তবর্ষ ইশ্রত্ব করিবার পরে কিছুকাল ভূবর্লোকে উত্তম উত্তম দিবভোগ উপভোগ করিয়া ও সুমেরু পৰ্ব্বতে গমনপূৰ্ব্বক দেবগণের ভবনে আনন্দ অনুভব কবে । যিনি একপাদ, চতুৰ্ব্বাছ, ত্রিনয়ন, শূলধারী ও র্যাহার দক্ষিণে ব্রন্ধ, বামে বিষ্ণু অবস্থিত আছেন ; যিনি অষ্ট • বিংশতিকোটি রুদ্ররূপী স্বয়ং হৃদয় হইতে পুরুষকে, বামদ্বিক্ হইতে প্রকৃতিকে, বুদ্ধিদেশ হইতে বৃদ্ধিকে ও অহঙ্কারকে, অহঙ্গার হইতে পঞ্চতন্মাত্রকে, ইন্দ্রিয়স্থান হইতে ইলিযচয়কে, পাদমূল হইতে পৃথিবীকে, গুহদেশ হইতে, জলকে, নাভিদেশ হইতে অগ্নিকে, হৃদয় হইতে সুর্যাকে, কণ্ঠদেশ হইতে চন্দকে, ভ্রমধ্য হইতে আত্মাকে ও মস্তক হইতে স্বৰ্গকে এইরূপে স্থাবর জঙ্গম সমগ্র জগৎকে স্বজন করিয়া অবস্থান করিতেছেন : এতাদৃশ সৰ্ব্বঙ্গ সর্পব্যাপী ঐ দেবের শাস্ত্রানুসারে যথাবিধি প্রতিষ্ঠা করিলে শিবসাযুজ্য লাভ হয় অর্থাৎ পরমাত্মায় লীন হয় । মানব ঐ যজ্ঞপতি ঈশানকে ত্রিপাদ, চতুঃশুঙ্গ, সহস্ৰবাহু ও মস্তকদ্বষ-বিশিষ্ট করিয৷ প্রতিষ্ঠা করিলে বিষ্ণুলোকে ধাইয়া পূজিত হয ও তথায় পরমমুখী হইয লক্ষকল্প অসীমভোগ উপভোগ করিয়া, ক্রমে পুনরায় এই কৰ্ম্মভূমিতে আসিয়া সকল যজ্ঞের পারগামী হয়। এবং যে ব্যক্তি অৰ্দ্ধচন্দ্ৰ-ভূষণ সোমমূৰ্ত্তি শিবকে বৃষারূঢ় কবিয প্রতিষ্ঠা করে; সে অযুত অশ্বমেধ যজ্ঞের ফল লাভ করিয়া কিদিণীমালাসমন্বিত গোঁবৰ্ণ বিমানে আরোহণপূর্বক শিবলোকে গমন করে ও তথ্য মুক্তিলাভ করে । ভগবানকে প্রমথগণপরিবৃত এবং জগদম্ব ও নদীর সহিত অবস্থান করিয়া প্রতিষ্ঠা করিলে যে ফল পাওয়া যায় তদ্বিষয় যেরূপ অবগত আছি কহিতেছি । যে ব্যক্তি স্থৰ্যমগুলের মত তেজঃসম্পন্ন, চতুঃদিকে নৃত্যশীল অপারোগণসমাকীর্ণ দেবদানবগণের দুর্লভ বৃষবাহন বিমানে আরোহণপুৰ্ব্বক শিবলোকে গমন করত দিব্য গণাধিপত্য লাভ করে। ১-২১ । এবং ষে ব্যক্তি সৰ্ব্বজ্ঞ গেব দেব বৃষধ্বজ পরমেশ্বরকে পাৰ্ব্বতীর সহিত নৃত্যপরায়ণ, ভূঞ্জ প্রভৃতি মুনিগণে সৰ্ব্বদা পরিবৃত, ব্ৰহ্মা বিষ্ণু ইন্দ্র চন্দ্র প্রভৃতি দেবগণ কর্তৃক নিত্য নমস্কৃত, মাতৃগণ ও মুনিগণকর্তৃক সেবিত এবং সহস্ৰ-বাহু অথবা চতুৰ্ব্বাহ করিয়া প্রতিষ্ঠা করে, তাহার পুণ্যফল কহিতেছি গুৰিখ ক্ৰয় । সকল যুজ্ঞাঙ্গুষ্ঠান, ত্বপস্তা, দান, তীর্থদর্শন ও দেবপূজামু ধে ফল আছে, সে তাহার লিঙ্গপুৰাণ l কোটিগুণ ফল পাইয়া শিবস্থানে গমন করে তথায় এক মহাপ্রলয় পৰ্য্যন্ত পরম হুখ ভোগ করিয়া, পুনরায় স্বক্টিকাল আসিলে মানবযোনিতে গমন করে। চতুৰ্ব্বাছ, ত্রিনয়ন, দিগম্বর, রজতগিরির স্থায় শ্বেতবর্ণ ও সর্পমেখলাস্থানীয়; কেশজাল ঈষৎ কৃষ্ণ ও কুঞ্চিত, হস্তে মৃকপাল—এইরূপ মুক্তি করিয়া দেবদেবের প্রতিষ্ঠা করিলে, শিবসাযুজ্যপ্রাপ্তি হয়। সেই প্ৰভু জগদম্বার সহিত সৰ্ব্বসিদ্ধি প্রদান করিতেছেন। স্বয়ং ধূম্ৰবৰ্ণ ও লোহিতবর্ণ নয়নত্রয়সমম্বিত, চন্দ্র তাহার শিরেভূষণ হইয়াছে; শিরোদেশে কাকপক্ষ, হস্তে নাগচৰ্ম্ম ধারণ করিতেছেন ; প্রভুর সিংহচৰ্ম্ম উত্তরীয় ও মৃগচৰ্ম্ম পরিধেয় বসন হইয়াছে এবং ঐ তীক্ষ্ণদন্ত দেব, হস্তে গদা ও লুকপাল ধারণ করিতেছেন ; অপর হস্তদ্বয়ে পদ্ম ও শখ ধারণ করিতেছেন এবং “কৃৎ ফট্‌” এইরূপ বিকট শব্দে সমগ্ৰ দিজুর্থ শঙ্কিত করিতেছেন ; কখন গলিতেছেন, কখন রোদন করিতেছেন ও কখন ভূতসমূহ ও প্রমথসমূহেৰ সঠিত মৃত্য করিতেছেন ; কখন বা বিষ পান করিতেছেন, ভগবানের এইরূপ প্রতিম করিয়া, সৰ্ব্বালঙ্কারে অল ত করিষা, ভক্তি পূর্বক প্রতিষ্ঠা কবিলে, পরম ঐশ্বৰ্য্যশালী হইয়া সৰ্ব্ববিপদ অতিক্রম করে এবং দেহাস্তে শিবলোকে যাইয়ু পুজিত হয় ও তথায় এক মহাপ্রলয়পৰ্য্যস্ত অনন্তভোগ উপভোগ করে ও তত্ৰত পুত্ৰগণের নিকট হইতে বিচারবলে জ্ঞান লাভ করিয়া মুক্ত হইয়া যায়। ধে ব্যক্তি দুই হস্তে বর ও অভয়, অপর হস্তদ্বয়ে ত্ৰিশূল ও পদ্ম, এইরূপে এই চতুর্ভুজ, অৰ্দ্ধনারীরূপ বলিয়া স্ত্রীপুরুষ উভয় ভাবে সংমিশ্রিত ও সৰ্ব্বালঙ্কারে ভুষিত ভগবানের প্রতিমা করিয়া ভক্তিপূর্বক প্রতিষ্ঠা করে, সে শিবলোকে যাইয়া পূজিত হয় ও তথায় আণিমাদি ষড়ৈশ্বৰ্য্যশালী হইয়া গ্রহনক্ষত্রের স্থিতিকালপর্য্যস্ত অনন্তু মুখ ভোগ করিয়া, পরে জ্ঞাম লাভ করত মুক্তি লাভ করে এবং যে ব্যক্তি ঐ দেবদেবকে শিষ্যোপশিষ্যগণ-পরিবৃত বেদব্যাখ্যানে সমৃদ্যতপাণি, নকুলীশ্বর-স্বরূপ করিয়া ভক্তিসহকারে তাহার প্রতিষ্ঠা করে, সেই মানব শিবলোকে গমন করিয়া তথায় শত অশেষ ভোগ লাভ করে ও তথায় জ্ঞানযোগ প্রাপ্ত হইয়া মুক্তিপদ লাভ করে। সেই পদ দেবদৈত্যগণের সৰ্ব্বতোভাবে অভীষ্ট। মুদ্রিতনয়ম, সৰ্ব্বাঙ্গে চিতাভস্মধারী, ললাটে জন্মের ত্রিপুঞ্জ, গলদেশে অবমুণ্ডমালা ও ব্রহ্মার কেশশিৰ্ম্মিত উপবীত, বামহস্তে ব্ৰহ্মকাল ও দক্ষিণহন্তে বিষ্ণুকলেবর ; পরমেশ্বর পরমাঞ্জার এজগুশ মূৰ্ত্তি করিয়া ভক্তিপূর্বক প্রতিষ্ঠা করিলে সংসার