পাতা:লিঙ্গপুরাণ (পঞ্চানন তর্করত্ন).pdf/১৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$ 8 a. নিশাচর নিঋতির খড়গ, বরুণের ভয়ঙ্কর অদ্ভুত নাগপাশ, বায়ুর যষ্টি, কুবেরের লোকপুঞ্জিত গদা, ঈশান৷ দেবের টঙ্ক, এই সকল ক্রমে নিবেদন করিয়া মহাদের্যের চরুযুক্ত মহতী পূজা করিয়া যথাবিভব সৰ্ব্বদেবগণের পূজা করবে। ব্রাহ্মণভেঞ্জন করাইয়া প্রযত্নপূর্বক পূজা করিয়া মহামেরুব্রত করিয়া মহদেবউদ্দেশে দান করিবে । এইরূ করিলে নারী মহামেরু প্রাপ্ত হইয়া মহাদেবীর সহিত ক্রীড়া করে এবং চিরকাল মহাদেবীর সাযুজ্য লাভ করে, ইহাতে সংশয় নাই। ২৩–৬৫ । যে নারী কাৰ্ত্তিক মাসে স্বর্ণ বা তায়াদি-নিৰ্ম্মিত সৰ্ব্বাভরণ-সম্পূর্ণ সৰ্ব্বলক্ষণ-লক্ষিত৷ দেবী ভগবতীর কথাবিধি প্রতিষ্ঠা করিয়া সৰ্ব্বলক্ষণসংযুক্ত শিবমূৰ্ত্তি নিৰ্ম্মাণ করিয়া উভয় প্রতিমার অগ্ৰে অগ্নি, আবহস্ত ব্ৰহ্মা ও সৰ্ব্বাভরণ-ভূষিত দাতা লোকপাল ও সিদ্ধশঙ্খপরিবৃত নারায়ণকে যত্নে প্রতিষ্ঠা করিয়া রুদ্রালয়ে ভক্তিপূর্বক রুদ্র-উদ্দেশে ব্রত অপর্ণ করে, সে নারী ভবানীর আকার প্রাপ্ত হইয়া ভবের সহিত ক্রীড়া করে। মার্গশীর্ষ হইতে কাৰ্ত্তিক পৰ্য্যস্ত অনুক্রমে প্রবর্তিত এই পুণ্য একভক্ত ব্রত নরনারী প্রভৃতি প্রাণীদিগের হিতনিমিত্ত হয়। হে মুনিসত্তমগণ! এই ব্ৰত করিলে পুরুষ শঙ্করের সাযুজ্য এবং নারী শঙ্করীর সাযুজ্য প্রাপ্ত হয়, ইহাতে সন্দেহ নাই । ৬৬–৭২ । চতুরশীতিতম অধ্যায় সমাপ্ত । পঞ্চাশীতিতম অধ্যায় । স্থত কহিলেন, হে ৰিজশ্রেষ্ঠগণ। সকলব্রতেই দেবদেব উমাপতির পূজা করিয়৷ পঞ্চাক্ষরী মন্ত্র বিধিপূৰ্ব্বক জপ করবে। বিশেষরূপ জপহেতু নিঃসন্দেহ ব্রতের সমাপ্তি হয়, অন্তরূপে হয় না। অতএব শুম্ভপ্রদ পঞ্চাক্ষরী বিদ্যার জপ করিবে। ঋষিগণ কহি, পঞ্চাক্ষর বিদ্য কিরূপ? তাহার প্রভাবই লার্ক ? মহাভাগ ! তাহার ক্রমোপায় বলুন; ইহা শ্রবণ করিতে আমাদিগের কৌতুহল হইয়াছে। স্থত কহিলেন, পূৰ্ব্বে দেবদেব রুদ্র শম্ভু পাৰ্ব্বতীর নিকট এই পুণ্যবিষয় কহিয়াছেন, অতএব আমি সংক্ষেপে কহিতেছি। ঐপাৰ্ব্বতী কছিলেন, হে ভগব সৰ্ব্বলোকমহেশ্বর! হে দেবজ্ৰেবেশ। পঞ্চাক্ষর মন্ত্রর স্বধার্থমাহাত্মা শ্রবণ ক্ষয়িতে ইচ্ছা করি। ঐভগবান্‌ কছিলেন, হে দেবি ! শতকোটিৰধ বলিলেণ্ড পঞ্চাক্ষরী লিঙ্গপুরাণ । মন্ত্রের মাহাত্ম্য বলা যায় না। অতএব আমি-সংক্ষেপে কিছু বলিতেছি শ্রবণ কর । ১–৬। প্রণয় উপস্থিত হইলে স্থাবর, জঙ্গম, দেব, অসুর, উরগ, রাক্ষস, সকলই প্রকৃতিপ্রাপ্ত হইয়া, তোমা দ্বারা বিনাশ প্রাপ্ত ইইয়াছিল। হে দেবি । তখন একমাত্র আমিই ছিলাম, দ্বিতীয় কোন ব্যক্তি কোন স্থানে ছিল না। পঞ্চাক্ষর মঞ্জে বেদ ও শাস্ত্রসমূহ অবস্থিত ছিল। সেই বেদ ও সমুদয় শাস্ত্র আমার শক্তিস্বারা পালিত হইয়৷ বিনাশ প্রাপ্ত হয় নাই । আমি এক হইয়াও প্রকৃতি ও আত্মারূপে দুই প্রকার হইয়াছিলাম। সেই ভগবান নারায়ণ দেব মায়াময় শরীর অবলম্বন করিয়া, সলিলমধ্যে যোগ-পৰ্য্যঙ্গ-শয়নে নিদিত ছিলেন। তাহার নাভিকমল হইতে পঞ্চবদন পিতামহ উৎপন্ন হইলেন। তিনি লোকত্ৰয় স্থষ্টি করিতে ইচ্ছ। করিয়া, সহায় না থাকায় অশক্ত হইয়া প্রথমে অমিততেজঃ-সম্পন্ন দশট মানস পুত্রের স্বষ্টি করিলেন। তাহাদিগের স্বষ্টি-প্রসিদ্ধির নিমিত্ত আমাকে কহিলেন, হে মহেশ্বর মহাদেব ! আপনি আমার পুত্রদিগের শক্তি দান করুন। আমি ব্ৰহ্মা কর্তৃক এইরূপ প্রার্থিত হইয়া পঞ্চবক্ররূপ ধারণপূর্বক পদাযোনিকে পঞ্চবদন স্বারা পঞ্চ অক্ষর বলিলাম। লোকপিতামহ ব্ৰহ্মা পঞ্চবন্ধন দ্বারা সেই পঞ্চ অক্ষর গ্রহণ করিয়া বাচ্য-বাচক-ভাবে পরমেশ্বরকে জ্ঞাত হইলেন। হে দেবি ! ত্ৰৈলোক্যপুঞ্জিত শিব এই পঞ্চাক্ষরের বাচ্য, আর পঞ্চ অক্ষরে পরম মন্ত্রই বাচক । ৭—১৬ । পঞ্চমুখ মহাত্মা ব্রহ্মা, বিধিযুক্ত মন্ত্রপ্রয়োগ জ্ঞাত হইয়া সিদ্ধি লাভপুৰ্ব্বক জগতের হিতনিমিত্ত পুত্রগণকে পঞ্চবর্ণাত্মক মহাৰ্থ মন্ত্র কহিলেন; পুত্ৰগণ লোকপিতামহ সাক্ষাং ব্রহ্ম হইতে মন্ত্ররত্ব লাভ করিয়া শ্রেষ্ঠ হইতেও শ্রেষ্ঠতর সেই শিবের আরাধনা করিলেন। অনস্তর মুক্তিত্রয়ের প্রধান ভগবান্‌ শিব সন্তুষ্ট হইয়া অখিল জ্ঞান ও অণিমাদি অষ্টসিদ্ধি দান করিলেন। মহাদেবের আরাধনাকজী সেই বিপ্রগণও থরলাভ করিয়া মেরুর রমণীয় শিখরে আমার প্রিয় ঐশালী মদ্ভুতবর্গ-পরিরক্ষিত মঞ্চবাননামক পৰ্ব্বতের নিকটে লোকস্থষ্টিকামনায় দেবপরিমিত সহস্রবৎসর বায়ুস্তক্ষণপূর্বক তপস্তা করিয়াছিলেন। হে দেবি ! সেই ঋষিগণ আমার অনুগ্রহ-নিমিত্ত অবস্থান করিতেছিল । জামি গুছানের গুক্তি দেখিয়া তৎক্ষণাৎ. প্রত্যক্ষ হইলাম এবং জার্ঘ্যলোকহিতকামনায় পঞ্চাক্ষর ময়, তাহার খবি, ছন্দঃ শক্তি ও বীজযুক্ত দেবতা, বড়লাস, স্কিন্ধ, বিনিয়োগ, সমুদয় রলিলাম।