পূৰ্ব্বভাগ । অঙ্গারভাৰ ত্যাগ করির পূণগু হইলে, সকলে ভোজন করিলে মতিমান যোগী ভৈক্ষাচর্য্যা করিবে । কিন্তু নিত্য এক ব্যক্তির নিকট করিবে না। সাধুগণের ধৰ্ম্ম দূষিত না করিয়া সেইরূপে ভৈক্ষ্য কৱিবে, যাহতে অপরে তাহাকে অবমান ও পরিভব করে। বাণপ্রস্থশ্রমী ও যাযাবর-গৃহে ভৈক্ষ্য করবে, যোগীর ইহাই প্রথম বৃত্তি। ইহার পর শীলসম্পন্ন, শ্রেষ্ঠ, শ্রদ্ধা, সমম্বিত, দাস্ত, মহাত্মা শ্রোত্রিয় গৃহস্থের निक$ ভৈক্ষ্যাচরণ করবে। ১—১৫ ইহার পর অতুষ্ট ও অপতিত ব্যক্তির নিকট ভৈক্ষাচরণ করিতে পারে, ইহা জষ্ঠ বৃত্তি। যবগ্ অক্ৰ, দুগ্ধ, যাৰক, পঙ্কফল, মূল, স্বক্ষ ধান্তাংশ পিণ্যাক ও সকু, ভিক্ষাছত এই কয়টা বস্তু যোগীদিগের সিদ্ধিবৰ্দ্ধন আহার। এই সকল বস্তু উপপন্ন হইলে ভৈক্ষ্য শ্রেষ্ঠ । যে মাসে মাসে কুশাগ্রদ্বারা জলবিন্দু পান করে এবং যে স্থায়পূৰ্ব্বক ভিক্ষা করে, সে পূৰ্ব্বোক্ত ভিক্ষাচারী হইতে শ্রেষ্ঠ । জরা মরণ গর্ভ ও নরকাদিতে ভীতমতি ভিক্ষালব্ধ বস্তুকে দয়লব্ধ বস্তুর স্তায় জ্ঞান করিবে । দধিভক্ষণব্ৰতী, পয়োভক্ষণ ব্রতী এবং কুছুদি দ্বারা শরীরশোষণকারী মানবগণ, ভিক্ষাহারী যতির ষোড়শ ভাগের এক ভাগের ও যোগ্য নহে। যে শ্রেষ্ঠ স্থান লাভ ইচ্ছা করে, সে ভস্মশায়ী হইবে এবং ভিক্ষাহারী ও জিতেক্রিয় হইয়া পাশুপাত যোগ আচরণ করিবে। সকল যোগীরই চন্দ্রায়ণ ব্ৰতশ্রেষ্ঠ, অতএব যোগী শক্তি-অনুসারে এক দুই তিন বা চারটা চন্দ্রায়ণ করবে। অস্তেয়, ব্রহ্মচৰ্য্য, অলোভ, ত্যাগ ও অহিংস এই পাঁচটা ভিক্ষুদিগের ব্রত, ইহার মধ্যে অহিংস শ্রেষ্ঠ। অক্রোধ, গুরুশুশ্ৰষা শৌচ, আহার, লাঘব এবং নিত্য স্বাধ্যায়, এই কয়ট নিয়ম উক্ত হইয়াছে। অরণ্যে হস্তী যেমন মানবের হুগ্রহ, সেইরূপ পিত, মাত, স্বীয় স্বভাব এবং সঞ্চিত ও ক্রিয়মাণ কৰ্ম্ম দ্বারা বস্তু বন্ধন দেবগণ কর্তৃক দুগ্রহ বিহিত হইয়াছে। সৰ্ব্বৰ্ষজ্ঞক্রিয়া দেবগণের স্থায়ু স্বৰ্গপ্রাপক, যজ্ঞ হইতে জপ, জপ হইতে জ্ঞান, জ্ঞান হইতে সঙ্গ ও রাগগুপ্ত ধ্যান, সেই ধ্যান প্রাপ্ত হইলে শাশ্বত মুক্তি লাভ হয়। দম, শম, সত্য, অকলুষত্ব, মেীন, সমুদ্রয় ভূতে আর্জব এবং অতীক্রিয় জ্ঞান,ইহাকে জ্ঞানবিশুদ্ধবুদ্ধিগণ শিব বলিয়াছেন। সমাধিযুক্ত ব্ৰহ্ম চিন্তারিত প্রমাণুগু, শুচি, বিৰিক্তপ্রিয়, জিতেক্রিয়, মহাস্থা এই পাশুপত যোগ প্রাপ্ত হয়, অনিন্দিত, জনল, মহর্ষিগণ ইহা বলিয়া থাকেন। অঙ্কুশ-বিনি बॉब्रिड रखैौcाननचछिदछcमरन नेोज एक, gगदेक्रन्{ ( రి কৰ্ম্মহীন অকলুষযোগী এই শুদ্ধমাৰ্গ দ্বারা মোক্ষ প্রাপিত হয়। সদাচাররত স্বধৰ্ম্মপরিপালক শাস্তযোগিগণ সকল লোক জয় করিয়া ব্রহ্মলোকে গমন করে । আমি সৰ্ব্বলোকের উপকারজন্ত পিতামহোপদিষ্ট সাক্ষংি সনাতন ধৰ্ম্ম বলিতেছি, শ্রবণ কর। গুরূপৱশযুক্ত ক্রমবর্তী বুদ্ধগণ আগত হইলে অভূখনাদি ও প্রণাম করিলে । ১৬-৩৩ । ত্ৰিধাকৃত অষ্টাঙ্গ প্ৰণিপাত ও তিনবার প্রদক্ষিণ দ্বারা আচাৰ্য্য এবং পিতাকে অভিবাদন করিবে। অন্ত পিতৃতুল্য জ্যেষ্ঠ ভ্রাতৃ প্রভৃতিকেও জ্ঞানবান বদন করবে। যদি উত্তম সিদ্ধি ইচ্ছা করে, তবে তাহাদিগের আজ্ঞা ভঙ্গ করিবে না । হেতুবাদ, নাস্তিকবাদ, বিলক্ষেত্র, প্ৰেতাদি সাধন ক্ষুদ্রমন্ত্রের দ্বারা জীবিকাকরণ, মন্ত্রাদিদ্বারা বিষযুক্ত সপাদি গ্রহণ এবং অন্তের অনুকরণ প্রভৃতি নিন্দিত গুণ যত্নে পরিত্যাগ করবে। ছল, ধন, শঠতা, কুটিলত, সৰ্ব্বদা ত্যাগ করবে। গুরুর নিকটে অতিশয় হাস্য, অসৎকার্য্যের আরস্ত, লীলা এবং স্বেচ্ছানুসারে কাৰ্য্য, অতিযত্বের সহিত ত্যাগ করবে। গুরুর বাক্যের প্রতিকূল বাক্য বলিবে এবং তাহার নিকট অযুক্ত বাস্থ্য না। পাদদ্বারা যতিগণের আসন, বস্ত্র দগুদি পাদুকা, মাল্য, শয়নস্থান, পাত্র, ছায়া এবং যজ্ঞোপকরণাঙ্গ স্পর্শ করিবে না । দেবদ্রোহ এবং গুরুদ্রোহ যত্নের ত্যাগ করিবে। যদি অজ্ঞানবশতঃ করে, তবে অধুর্ত প্রণব জপ করিবে। জ্ঞানপূৰ্ব্বক দেবদ্রোহ ও গুরুদ্রোহ করিলে কোটিপরিমিত জপ করিলে শুদ্ধ হয়। মহাপাতকগুদ্ধি নিমিত্ত যথাবিধি ঐ কোটি জপ করিবে। অনুপাতকী যদি বৃত্তবান হয়, তবে কোটির অৰ্দ্ধজপে শুদ্ধ হয়। হে সুব্রতগণ ! সকল উপপাতকী তদন্ধে শুদ্ধ হয় । সন্ধ্যা লোপ করিলে ব্রাহ্মণ ত্রিরাবৃত্তিতে শুদ্ধ হয় । আহ্নিকচ্ছেদ হইলে একশত জপ উক্ত হইয়াছে। সময়ের লঙ্ঘন, অভক্ষের ভক্ষণ, অবাচ্যুবাচন করিলে সহস্রজপে শুদ্ধি হয়। কাক, উলুক, কপোত এবং অপর পক্ষীর হনন করিলে অক্টোত্তরশত জপ করিয়া নিঃসংশয় শুদ্ধ হয়। যে বেদবিং ব্রাহ্মণশ্রেষ্ঠ তত্ত্ববেত্তা,তিনি পাপী হইলে প্রণব স্মরণ করিলে নিঃসন্দেহ শুদ্ধিলাভ করেন । আত্মবিদগণের প্রায়শ্চিত্ত নাই । সেই ব্রহ্মবিদ্যাবিং শুদ্ধ মহাত্মার বিশ্বের হিতে নিরত আছেন। যাহারা যোগধ্যাননিষ্ঠ তীহার কাঞ্চলের স্কায় নির্লেপ শুদ্ধ বন্ডর কোনরূপ শোধন নাই। হার ব্রহ্মবিদ্যাঞ্জা । বিশুদ্ধ। বস্ত্র ও চক্ষু দ্বার, পবিত্র অগ্নক ও ক্ষে
