পাতা:লিঙ্গপুরাণ (পঞ্চানন তর্করত্ন).pdf/১৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পূর্বভাগ । প্রাপ্ত হয় না। এই পাপনাশিনী পুণ্যদয়িনী বকুণনায়ী নদী, এই ক্ষেত্ৰকে জলস্কৃত করিয়া জাহ্নবীর সহিত সঙ্গত হইয়াছে। ব্ৰহ্মা ঐ গঙ্গা ও বরুণার সঙ্গমে সঙ্গমেশ্বর নামে জগতে বিখ্যাত, উত্তম লিঙ্গ স্থাপন করিয়াছেন, তুমি দর্শন কর। যে মানব দেবনীর সঙ্গমে স্নান করিয়া শুচি হইয়া সঙ্গমেশ্বরের পূজা করে; তাহার জন্মভয় কোথায় ? আমি বিবেচন৷ করি, এই মহাক্ষেত্র যোগীদিগের উত্তম নিবাসস্থান। যে স্থানে আমি ক্ষেত্রমধ্যে অগ্র হইয়া মধামেশ্বর নামে খ্যাত হইয়া অবস্থান করিতেছি। ৭১-১৯ । এই স্থান মদীয় ব্রতচারী সিদ্ধদিগের এবং মোঙ্কলিপ্ত জ্ঞানযোগনিরত যোগীদিগের বাসস্থান। এই মধ্যমেশ্বরের দর্শন করিলে জন্মের প্রতি শোক হয় না। আর সমস্ত সিদ্ধ ও দেব-পুঞ্জিত শুক্রেশ্বর নামক যে লিঙ্গ, ঐ লিঙ্গ ভূগুপুত্র শুক্র কর্তৃক স্থাপিত হইয়াছে। ঐ লিঙ্গ দর্শন করিলে সদ্যঃ পাপ হইতে মুক্ত, ও মৃত্ত হইলে আর কখন সংসারী হয় না। পূৰ্ব্বকালে দেবকণ্টক এক অমুর ব্ৰহ্মার নিকট বর লাভ করিয়া জল্লুকরূপে অতি সাবধানে অবস্থান করিতেছিল। হে হিমালয়ুপুত্র । আমি তাহাকে নিহত করি, সেই জগু আমি অদ্যাপি জগতে জম্বুকেশ বলিয়া বিখ্যাত আছি। সেই সুরাসুর-নমস্কৃত দেবেশকে দর্শন করিলে সকল অভিলষিত ফল লাভ করা যায়। শুক্র প্রভৃতি গ্ৰহগণ পুণ্য ও সৰ্ব্বকামপ্রদ লিঙ্গসমূহ স্থাপন করিষ্কাছেন, তুমি এই সকল দর্শন কর । হে পাৰ্ব্বতি | এরূপ এই সকল অতি পবিত্র আমার বাসস্থান বলিলাম, এখন গুহ বাক্য শ্রবণ কর। হে চাৰ্ব্বঙ্গি ! এই ক্ষেত্র চতুৰ্দ্দিকে চতুঃক্রোশ, অতএব ইহা যোজনমত্র, এই ক্ষেত্র মৃত্যুকালে মোক্ষপ্রদান করে। মহালয়পৰ্ব্বতে ও কেদারে সংস্থিত আমাকে দর্শন করিলে মানবগণে সত্ত্ব-প্রাপ্ত হয় এবং এই ক্ষেত্রে মোক্ষ লাভ করিতে পারে। গাণপত্য লাভ ও উত্তম মুক্তি,হয় বলিয়া মহালয়-মধ্যমকোর হইতেই এই অবিমুক্ত ক্ষেত্র পুণ্যতম বলিয়। উক্ত হইয়াছে। ৯১—১০২। কোরক্ষেত্র ও মহালয়-মধ্যম ভূর্লোকে আর আর ক্ষে আমার পুণ্যস্থান আছে, তাহ হইতে এই ক্ষেত্র শ্রেষ্ঠতৰ ; যেহেতু এই স্থানে থাকিরা এই সমুদয় লোক স্থাঃ করিষ্কাছি, এই জঙ্ক এই ক্ষেত্র শুভ। কখন এই ক্ষেত্র স্বামকর্তৃক মুক্ত হয় নাই, এক ইহার নাম অবিমুক্ত হইয়াছে। মানব আমার জৰিযুক্ত লিঙ্গ দৰ্শন করিলে. জুংঙ্কণাং সকল পাপ ও পশু-পাণ হইতে মুক্ত হন। ఆ শৈলেশ, সঙ্গমেশ, স্বণীলেশ, মধ্যমেশ্বর, হিরণ্যগর্ভেশ্বর, গোপ্রেক্ষক, বৃষধ্বজ উপশাঞ্জশিব জ্যেষ্ঠস্থান নিবাসী, শুক্রেখর, ব্যাঞ্জেশ্বর ও জম্বুকেশ্বর লিঙ্গদর্শৰ্ম করিলে মানব কখন দুঃখসাগর-সংসারে জন্মগ্রহণ করে না। স্থত কহিলেন, মহাদেব ইহা কহিয়া সঙ্কুলক্তিক্ষ অবলোকন করিতে লাগিলেন । অনন্তর দিধিলোকন করিয়া মহাদেব অবস্থান করিলে অকস্মাৎ সেই সমস্ত দেশ প্রজ্জ্বলিত হইয়া উঠিল। অনন্তর পাশুপত , ব্রতধারী, ভলেপনে শুভ্ৰশরীর মহেশ্বর-পরায়ণ নিয়মব্রতধারী, শত শত সিদ্ধগণ আগমনপূর্বক মহেশ্বরকে নমস্কার করিল। যোগেশকে উত্তমরূপে দর্শন কব্রিহ্ম ধ্যানপর আত্মাতে মনকে অবলম্বিত করিয়া শিৰে লীয়মানের স্তায় অবস্থান করিতে লাগিলেন । সিদ্ধগণ এইরূপে অবস্থান করিলে দেবদেব উমাপতি অন্তকালে জগৎকে একস্থ করিবার জন্তই যেন পরমমূৰ্ত্তি ধারণ করিয়া পরমপুরুষ প্ৰভু অবস্থান করিতে লাগিলেন। সেই জগৎপ্ৰভু মহাদেব পরমমূৰ্ত্তি জঞ্চাশ্বন করিলে গিরিরাজ-নশ্রিনীর রোমহর্ষ হইঞ্জ উঠিল, তিনি আর সেই মূৰ্ত্তি দর্শনে শক্ত হইলেন না। ১৯৩—১১৪ ৷ অনন্তর পরমেশ্বরী প্রকৃতিস্থিত অদৃষ্টপূর্ব আকার জ্ঞান করিয়া যোগবলে প্রকৃতিমূৰ্ত্তি পরিগ্রহ করিয়া মহাত্মা হরের মূৰ্ত্তি দর্শন করিতে পাৱিলেন । জনস্তর সেই যোগিগণ হরের লক্ষ্য অবলম্বনপুৰ্ব্বক খেলিঙ্গ-শরীর হইয়া শুর্বপ্রকাশিত পাপহর পঞ্চাক্ষর বীজ স্মরণ করিতে পুরুষের হৃদয়ে প্রবেশ করিয়াছিলেন। অনস্তর মহাদেব স্বীয় বপু নীললোহিত মুর্ভিস্থ করিঙ্গে । তখন হৃষ্টরোমা শৈলনশিল্পী স্তব করিতে করিতে মহাদেব-চরণে নমস্কারপূর্বক কহিলেন, হে ভগবন্‌! ইহার কে? তখন সুয়শ্রেষ্ঠ মহাদেব গিরীন্দ্রনদিনী দেবীকে কহিলেন, হে ভামিণি! ভক্তিমানূ দ্বিজোত্তমগণ মনীয় ব্ৰত আশ্রয় করিয়া এক জন্মেই যে যে যোগ অভ্যাস করিয়াছেন, সেই যোগ এই ক্ষেত্রেরও অামাতে ভক্তির প্রভাবে জামি স্বয়ং মূৰ্ত্তি প্রকাশ করিয়া তাহাদিগের প্রতি অনুগ্রহ করিয়া থাকি। অতএব এই ব্ৰহ্মাদি বেদবিশ্লেশ, সিদ্ধ ও তপস্বিগণকর্তৃক সেবিত এই ক্ষেত্র অস্তি মহৎ । প্রতিমাসের উভয়পক্ষের অষ্টমী ও চতুর্দশীতে সকল পর্বে বিষুব ও অক্ষাসংক্রাত্তিতে চঞ্জ ও হুৰ্ধগ্রহণে কাৰ্ত্তিকী পৌর্ণমালীতে সকল তীর্থ, ধারাণসীতে; আগমনপূর্বক জাহ্নবীর উপাসনা করেন। উঞ্জাইনী গিরিাজের শুভকারিক কল্প পুণ্যশাসঙ্গিপুখ্যান্ধী